সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে মানেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা থাকে যুগলের। ধুমধাম করে তাঁর বিয়ে হবে বলেই ভেবেছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ব্যবসায়ীর মেয়ে। কিন্তু বাদ সাধল করোনা। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় আচমকাই লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। ফলে বিয়ে কীভাবে হবে, সে চিন্তায় মাথায় হাত পড়ে যায় ব্যবসায়ী পরিবারের। তবে বিয়ের দিন পিছনোয় মন ছিল না কারও। পরিবর্তে নমো নমো করে সাড়া হল অনুষ্ঠান।
ইন্দোরের ব্যবসায়ী অক্ষয় জৈনের একমাত্র মেয়ে কিঞ্জল। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী আধিকারিকের সঙ্গে বিয়ের কথা স্থির হয় তাঁর। মাসকয়েক আগে থেকে শুরু হয়েছিল বিয়ের আয়োজন। মেয়ের বিয়ে বলে কথা তাই ব্যবসায়ী বাবা করেছিলেন এলাহি আয়োজন। প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানের জমজমাট আয়োজন করা হয়েছিল। আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিত মিলিয়ে নিমন্ত্রিতও ছিলেন অনেকেই। কিন্তু আচমকাই কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন জারি করে। তার মাঝে কীভাবে হবে অনুষ্ঠান, তা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না পরিজনরা। শুভ কাজ পিছিয়ে দিতেও মন চায়নি পরিজনদের। তাই বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
প্রাক বিবাহ অনু্ষ্ঠান একেবারেই বাতিল করে দেওয়া হয়। বিয়ের মূল অনুষ্ঠানও যথেষ্ট কম সময়ের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব তৈরির কথা মাথায় রেখে উপস্থিত ছিলেন বর ও কনেপক্ষের গুটিকয় ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
নবদম্পতির সাজগোজেও ছিল ব্যতিক্রমী ছোঁয়া। বিয়ের জন্য কেনা পোশাক পরেননি কেউ। পরিবর্তে সাদামাটা পোশাক পরেন দুজনে। সংক্রমণের আশঙ্কার মাঝে মালা জোগাড় করাও মুশকিল। তাই মালাও পরেননি তাঁরা। পরিবর্তে তাঁরা মুক্তোর মালা বদল করেন। এছাড়া নবদম্পতি-সহ বিয়েতে উপস্থিত সকলের মুখেই ছিল মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সমাজের বাঁধা ছক ভেঙে একেবারে অন্যরকমভাবে বিয়ে করে খুশি নবদম্পতি। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হলে পরিজনদের নিয়ে বড় করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.