লরেন্ট সিমন্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হতে চলেছে বেলজিয়ামের লরেন্ট সিমন্স। মাত্র ৯ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছে সে। এর ফলে এডিনহোবেন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ওই পড়ুয়া হতে চলেছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যাজুয়েট।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যাপকদের কাছে জিনিয়াস হিসেবে পরিচিত ওই নাবালক স্নাতক হওয়ার পর ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই গবেষণা করবে বলে পরিকল্পনা করেছে। এর পাশাপাশি মেডিসিনেও স্নাতক হতে পড়াশোনা শুরু করেছে সে। এর আগে মাত্র ১৮ মাস পড়াশোনা করে আট বছর বয়সে স্কুলের গণ্ডি পেরোয়। তারপর সবথেকে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার নজির গড়ে। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের বুদ্ধাঙ্ক ৮০ থেকে ১১০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও লরেন্টের বুদাঙ্ক বা আইকিউ কমপক্ষে ১৪৫।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লরেন্সের মধ্যে থাকা প্রতিভা সবার প্রথমে চোখে পড়েছিল ওর ঠাকুর্দা আর ঠাকুমার। তাঁরাই প্রথমে লক্ষ্য করেন যে লরেন্স অত্যন্ত মেধাবী। ওর মধ্যে অন্য কোনও ক্ষমতা আছে। ওঁনাদের কাছে বিষয়টা জানার পরেই লরেন্সের ইচ্ছা মতো পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পরে লরেন্সের শিক্ষকরাও তাই বলেন। আর তারপরই এই ফল।
এপ্রসঙ্গে লরেন্সের বাবা আলেকজান্ডার সিমন্স বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই পিএইচডি করতে চাইছে ও। পাশাপাশি মেডিসিনেও স্নাতক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা এবিষয়ে ওকে কোনও চাপ দিই না। আসলে আমরা কোনওভাবেই চাই না যে এই সমস্ত কিছুর জন্য ওর ছেলেবেলাটা হারিয়ে যাক। আর পাঁচটা শিশুর মতোই ও খেলাধুলো করে বড় হোক। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় লরেন্টকে নিজেদের ছাত্র বানাতে চাইছে। তবে এবিষয়ে ও যেটা মনে করবে সেটাই করবে। আমরা চাই এই বিষয় নিয়ে ও যেন বেশি চিন্তা না করে। আমরা ওর প্রতিভা ও ছোটবেলার মধ্যে যেন ভারসাম্য বজায় থাকে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লরেন্টের আগে এই বিরল নজির তৈরি করেছিল আমেরিকার মাইকেল কারনে। মাত্র দশ বছর বয়সে ইউনিভার্সিটি অফ আলাবানা থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছিল সে। আগামী ডিসেম্বর মাসে তার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়তে চলেছে লরেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.