সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও কখনও চোখের সামনে যা স্পষ্ট হয়ে ফুটে আছে তাকেও সত্যি বলে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। ঠিক তেমন অবস্থাই হয়েছিল অশীতিপর গণপত নায়েকের। ইলেকট্রিক বিল (Electric bill) নিয়ে অসন্তোষ অনেক সময়ই দেখা যায়। কিন্তু এ তো তেমন কোনও উনিশ-বিশের ব্যাপার নয়! ইলেকট্রিক বিল যে ৮০ কোটি টাকার! এক ঝলকে দেখেই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় গণপতের। সেই সঙ্গে চড়চড়িয়ে চড়ে যায় রক্তচাপ! অবস্থা এমন দাঁড়ায় ছুটতে হয় হাসপাতালে।
এমনিতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নালা সোপারার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ রীতিমতো ধনী। চাল কলের মালিক তিনি। কিন্তু তা বলে এই অঙ্কের ইলেকট্রিক বিলের ধাক্কা সামলানো তাঁর পক্ষেও সম্ভব হয়নি। তার উপর তিনি আবার হৃদরোগী। ফলে সহজেই আতঙ্ক গ্রাস করে শরীরে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। কেবল গণপত নন, বিল দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তাঁর নাতি নীরজও। তাঁর কথায়, ”আমরা সবাই তখন চাল কলেই ছিলাম। বিলটা দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল বোধহয় গোটা জেলার বিল এটা। কিন্তু ভাল করে খতিয়ে দেখে বুঝতে পারি, তা নয়। এটা আমাদেরই বিল। লকডাউনের সময় মিটার রিডিংয়ের সমস্যা থাকায় বহু ক্ষেত্রেই পরে বেশি টাকার বিল এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ইলেকট্রিসিটি বোর্ড বোধহয় বকেয়া বিল পাঠিয়ে দিয়েছে।”
বকেয়া বিল হলেও এত? এ যে কল্পনাতেও আনা সম্ভব নয়। তাহলে? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল সবাইকে। শেষ পর্যন্ত ইলেকট্রিসিটি বোর্ড জানিয়েছে, আসলে বিলেই ভুল রয়েছে। বোর্ডের এক কর্মীর কথায়, ”যে এজেন্সি বিল বানিয়েছে তারা ছয় অঙ্কের জায়গায় নয় অঙ্কের বিল বানিয়েছে। গন্ডগোলটা এখানেই। পরে আমরা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভুলটা ধরতে পারি।” অবশেষে নতুন বিল পাঠানো হয়েছে গণপতের পরিবারকে। যা দেখে স্বস্তি ফিরেছে। হাঁফ ছেড়েছেন সবাই। হাসি ফুটেছে অশীতিপর বৃদ্ধের মুখেও। স্বাভাবিক হয়েছে রক্তচাপের গতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.