সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের বোধদয় হল বটে, তবে ছ’মাস দেরিতে। ফলে সম্প্রতি এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী হল গুজরাট (Gujarat)। ছয় মাস আগে মৃত্যু হয়েছিল যুগলের। তাঁদের আবক্ষ মূর্তি বানিয়ে সেই মূর্তিকে বিয়ে দেওয়া হল ঘটা করে। অভিনব এই বিবাহ অনুষ্ঠানে কনে ও বরপক্ষের পরিবারের লোকেরা হাজির ছিলেন। প্রশ্ন হল, আজব বিয়ের কারণ কী?
তাহলে জানতে হবে গণেশ, রঞ্জনা ও তাঁদের নিষ্পাপ ভালবাসার কথা। গুজরাটের তাপি এলাকার বাসিন্দা এই তরুণ তরুণী। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় তাঁরা সংসার বাঁধতে আগ্রহী হন। ভেবেছিলেন বাকি জীবন একসঙ্গে থাকার শপথ নেবেন অগ্নি সাক্ষী রেখে, দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে। ফলে উভয়ে নিজেদের পারিবারের সদস্যদের কাছে সম্পর্কের কথা জানান এবং বিয়ের প্রস্তাব করেন। কিন্তু দুই পরিবারই আপত্তি তোলে। মূল আপত্তি আসে ছেলের বাড়ির তরফে। যেহেতু উভয় পরিবার দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
কিন্তু তরুণ-তরুণী পরিবারের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। তাঁরা ভালাবাসার স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। পরিবার তথা সমাজ তা দিতে রাজি না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেন। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর পরেই আশ্চর্য পরিবর্তন ঘটে উভয় পরিবারের মনোভাবে। গণেশ ও রঞ্জনা পরিবারের লোকেরা একজোট হন। একসঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়ে সন্তানদের জন্য হাহাকার করেন। এবং নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দুই পরিবার উদ্যোগে গনেশ ও রঞ্জনার অবক্ষ মূর্তি তৈরি হয় গ্রামে। যুগলের আত্মহত্যার ছয় মাস পর সেই মূর্তিকে বিয়ে দেওয়া হল যাবতীয় নিয়ম মেনে।
রঞ্জনার ঠাকুরদা বলেন, “ছেলের পরিবার আসলে আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ফলে ওরা এই বিয়েতে রাজি ছিল না। যদিও আমরা বুঝেছিলাম গনেশ ও রঞ্জনা একে অপরকে ভালবাসে। সেই কারণে অনভিপ্রেত ঘটনার পর তরুণ তরুণীর মূর্তি গড়ে বিয়ের পরিকল্পনা করা হয়।” উভয় পরিবারের বক্তব্য, যুগলের আত্মা যাতে তৃপ্ত হয় তার জন্যই জীবিত অবস্থায় তাদের যে ইচ্ছে ছিল তা পূর্ণ করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.