সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার মুখের দিকে তাকালে অবাক হয়ে যেতে হয়। নিজের কানকে বিশ্বাস নাও হতে পারে। মনে প্রশ্ন জাগে, এমনটাও সম্ভব? বয়স যে মাত্র পাঁচ বছর। অথচ এই বয়সেই ১৯৫টি শহরের নাম অনর্গল বলে দিতে পারে খুদে মেয়েটি। বিস্ময় বালিকা ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে তাকে!
কথা হচ্ছে সিডনির পাঁচ বছরের খুদে এস্থার লির প্রসঙ্গে। ২০১৬ সালে মাত্র তিন বছর বয়সে বিরল কীর্তি করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল লি। বিশ্বের ১৯৫টি দেশের রাজধানীর নাম এক নিমেষে বলে দিত পারত সে। এখন, যত বড় হচ্ছে ততই দুনিয়াকে বিস্মিত করে দিচ্ছে সে। কারণ বর্তমানে এই খুদে শিশু চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে শেক্সপিয়ারের বড় বড় কবিতাও। এখানেই শেষ নয়। প্রতিভাবান লি এখন তিনটি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। উচ্চারণে শৈববের ছোঁয়া থাকলেও তার মস্তিষ্ক যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ককেও হার মানায়।
পাঁচ বছরের শিশু খেলাধুলো, পড়াশোনা খুব বেশি হলে নাচ-গান করবে, এমনটা দেখেই অভ্যস্ত সাধারণ মানুষের চোখ। কিন্তু এস্থার তো আর যে সে মেয়ে নয়। বাবা-মা তাঁকে কী খাইয়ে মানুষ করছেন, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে। জানলে অবাক হবেন, সম্প্রতি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে শেক্সপিয়রের ‘রোমিও জুলিয়েট’ শুনিয়েছে সে। যা ভাবতেও অনেকের অবাক লাগবে, তা বাস্তবের মাটিতে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করে চলেছে লি। স্বাভাবিকভাবেই তার অসামান্য পারফরম্যান্স হাততালি কুড়িয়েছে দর্শকদের। শেক্সপিয়ার তার কতটা প্রিয়, সে কথাও জানাতে ভোলেনি খুদে ওস্তাদ। বলে, “শেক্সপিয়রের সব লেখাই আমার পছন্দ। উনি দারুণ কবি ছিলেন।”
মাত্র ১৮ মাস বয়সেই এস্থারের বাবা-মা বুঝেছিলেন তাঁদের সংসারে বিস্ময় বালিকার জন্ম হয়েছে। কারণ তখন থেকেই তাকে কোনও এক শহরের নাম বললে সে আর তা ভুলত না। এমন সন্তানের জন্ম দিয়ে গর্বিত ও আপ্লুত এস্থারের অভিভাবক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.