সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোগী। তাঁর দাবি ছিল হার্নিয়ার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাঁরা। ওষুধ খেয়েও উপশম হয়নি। শেষে পেটের এক্স-রে করতেই সামনে এল পেট ব্যথার আসল কারণ। আর সেই কারণ সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের। রোগীর পেটে সোনার খনি! কীভাবে এল এত সোনা (Gold Ornaments)?
ঘটনাটি কর্ণাটকের। একটি সোনার দোকানে লুঠপাটের ঘটনায় শিবু ও ম্যাথু নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মজার বিষয় হল গ্রেপ্তারির পরও চুরি যাওয়া কোনও মালই উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের তো মাথায় হাত। কোথায় গেল এত সোনাদানা। ধৃত দু’জনকে হেফাজতে রেখে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু কোনও চোরাই মালের হদিশ মিলছিল না। এমন সময় ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।
রাত বিরেতে অসম্ভব পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় শিবুর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিবু বারবার ডাক্তারদের বলে, হার্নিয়ার ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু ওষুধ খেয়েও ব্যথা সারেনি তার। এর পরই পেটের এক্স-রে করা করা হয়। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, শিবুর পেটে সোনার ‘খনি’। পেটে তিন প্যাকেট সোনা ভরতি। কী করে পেটে গেল এত সোনা?
জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্য আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিবু স্বীকার করে চুরির মাল লুকোতে সে আইসক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে সোনা গিলে ফেলত সে। প্যাকেটে মোড়া সেই সোনার গয়না লোকানো থাকত তাঁর পেটে। পরে তা বের করে আনত। সাধারণত, পুলিশ তাদের ধরলে বাড়ি কিংবা পকেটে তল্লাশি করত। কিন্তু পেটের ভিতরে সোনা লুকিয়ে থাকতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন শিবুর পেট থেকে ৩০টি সোনার আংটি এবং কানের দুল উদ্ধার হয়। যার ওজন ৩৫ গ্রাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.