সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র তিরিশ বছর। এই বয়সেই ৪৭ সন্তানের বাবা। ৮ বছর সময়কালে সন্তান সংখ্যায় প্রায় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন যুবক। এমনকী আরও ১০ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায়। এ হেন যুবকের আক্ষেপ, মেয়েরা তাঁকে মোটেই পাত্তা দেয় না, দেখা করতে চায় না তাঁর সঙ্গে। ফলে কিছুতেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠছে না। যুবকের কথা শুনে চমকে ওঠাই স্বাভাবিক। ফলে সকলেরই প্রশ্ন- কী করে হয়?
যুবকের নাম কাইল কর্ডি। আমেরিকার (America) ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। কাইল আসলে একজন শুক্রাণু দাতা (Sperm Donor)। গত আট বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন তিনি। এভাবেই ৪৭ সন্তানের ‘বায়োলজিক্যাল ফাদার’ তিনি। যদিও কাইলের মতে, তাতেই হয়েছে বিপত্তি। এর ফলেই কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠছে না। অনেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বটে, তবে শুক্রাণুর জন্য। তাই বলে এই কাজকে ছোট করতে রাজি নন কাইলি।
[আরও পড়ুন: গরুর ঢেঁকুরে উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী! সমাধানে অভিনব পন্থা বিজ্ঞানীদের]
কাইলি জানান, গত আট বছরে অন্তত ১ হাজার মহিলা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে এদের কেউই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আগ্রহী নন। সকলেই সন্তান উৎপাদনের জন্য তাঁর শুক্রাণু পেতে চান। যদিও কাইলি এবার নিজের সংসার পাততে আগ্রহী। ‘প্রিয়জন’কে খুঁজছেন তিনি। কার্লি বলেন, মনের মানুষকে শুরুতেই শুক্রাণু দানের কথা জানাব, যাতে সম্পর্কের স্বচ্ছতা থাকে।
[আরও পড়ুন: OMG! অবসাদ দূর করতে নিজের মূত্র পান করেন যুবক! তা দিয়ে মুখ ধুয়ে চেহারায় জেল্লাও!]
যদিও তাঁর মহতি কাজ ব্যক্তি জীবনে অস্বস্তি তৈরি করছে, তবু শুক্রাণু দান করতে পেরে গর্বিত কাইলি। এই মুহূর্তে “স্পার্ম ডোনেশন ওয়ার্ল্ড ট্যুর”-এ বেরিয়েছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁর সন্তানদের সঙ্গে দেখা করছেন। কাইলি বলেন, “অনেক নারী আমার সাহায্যে সন্তান সুখ পেয়েছেন। এটা ভাবতে দারুণ লাগে। এই কাজে আমি যে আনন্দ পাই, তা বিশ্বের অন্যতম সেরা অনুভূতি। আমি নিয়মিত শিশুদের ছবি পাই। তারা ভাল আছে জেনে দারুণ লাগে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.