সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য শতবর্ষ পেরিয়েছেন। এখনও বেশ চাঙ্গা। হেঁটে চলে বেড়ান। পূরণ করেন নিজের শখ-আহ্লাদ। তাঁর এই দীর্ঘায়ুর আসল রহস্যটা কী? টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্য ফাঁস করলেন চিনের শতায়ু ঝাং কেমিন।
সকলেই ভাবেন মদ্যপান (Boozing) বা ধূমপান (Smoking) করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। বিজ্ঞানী বা চিকিৎসকরাও তাই দাবি করেন। ফলে সুস্থ জীবন ও লম্বা আয়ুর জন্য এই বদভ্যাসগুলি ত্যাগের পরামর্শ দেন তাঁরা। কিন্তু চিনের জিনজিন প্রদেশের বাসিন্দা কেমিনের কথায়, “সারাজীবন ইচ্ছেমতো মদ খেয়েছি, ধূমপান করেছি। যখন যা ইচ্ছে হয়েছে খেয়েছি। তা যতই অস্বাস্থ্যকর হোক না কেন!” আর এই খামখেয়ালি জীবনযাপনই তাঁকে লম্বা আয়ু পেতে সাহায্য করেছে, বলছেন কেমিন।
তবে ৩০ বছরের পর মদ খাওয়ায় কিছুটা লাগাম টেনেছিলেন তিনি। ৯০-এর পর কমেছে সিগারেটে সুখটানও। কিন্তু এখনও দিনে এক বাক্স সিগারেট প্রয়োজন হয় তাঁর। নিত্যদিন মদও চাই। খাওয়া-দাওয়াতে কোনও বাদ-বিচার তাঁর নেই। যাকে বলে একেবারে, ‘মন খুলে বাঁচা।’ ১০০ বছর বয়সেও এই জীবনযাপনই নাকি তাঁকে সুস্থ রেখেছে, দাবি করেছেন কেমিন।
বয়সে সেঞ্চুরি করেও বেশ ফিট তিনি। চিনের (China) কেমিন জানাচ্ছেন, কানে শোনা ছাড়া তেমন কোনও সমস্যা তার হয় না। রাস্তায় নিয়মতি হাঁটাহাটিও করেন তিনি। তবে বৃষ্টি হলে বাইরে বের হতে সমস্যা হয়। তখন তাঁর প্রিয় কাজ হাতে মদের গ্লাস আর সিগারেট নিয়ে, টিভি দেখে সময় কাটিয়ে দেওয়া। বাড়িতে পাঁচ প্রজন্মকে নিয়ে থাকেন কেমিন। খবর মোতাবেকে, ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সে চিনের এক দোকানে খাতাদেখার চাকরি শুরু করেন। দোকানের অন্য কর্মচারীদের পাল্লায় পড়ে তাঁর সিগারেট টানা এবং মদ খাওয়ায় হাতেখড়ি। এখনও রয়েছে সেই অভ্যাস। তারপরেও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন কেমিন। তাঁর সুস্বাস্থ্য দেখে অনেক সুরাপ্রেমীরাই বলছেন, ” যাঁরে মদ্যপানের বিরুদ্ধে, তাঁদের মাথায় পড়ুক বাজ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.