সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা হাত ছাড়াই জন্মেছিল বছর দশের সিন্দুরী। তাই বাকি শিশুদের থেকে শৈশবটা একটু অন্যরকমই ছিল ওর। বাকিরা অনায়াসে করতে পারত, ওর খানিকটা বেশি সময় লাগত। তাই বলে হার মানেনি। বরং বুঝিয়ে দিয়েছে ইচ্ছেশক্তির কাছে প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধাই নয়। সেই জন্যই তো এই বয়সে সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে সে। একহাতেই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য মাস্ক বানিয়ে লাগিয়ে দিয়েছে সিন্দুরী।
কর্ণাটকের উদুপি জেলার বাসিন্দা সিন্দুরী। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বলছে, স্কুলের তরফেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যাতে শামিল হতে পারায় সে উচ্ছ্বসিত। কিশোরীর কথায়, “আমাদের স্কুল থেকে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ এক লক্ষ পড়ুয়াকে মাস্ক দেওয়ার লক্ষ্যেই স্কুল মাস্ক বানাতে বলেছিল। আমি মোট ১৫টা মাস্ক তৈরি করেছি। প্রথমে ভাবছিলাম একহাত দিয়ে আর সেলাই করতে পারব! কিন্তু মা আমার পাশে ছিল। তাই পেরেছি।”
করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে অনেক দিন আগেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই স্কুলগুলিও পড়ুয়াদের মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝাচ্ছে। আর সিন্দুরীর স্কুলে তো মাস্ক তৈরির জন্য ছাত্রছাত্রীদেরই উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ওই স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, সিন্দুরীর ইচ্ছেশক্তির জন্যই সে মাস্ক তৈরি করতে পেরেছে। খুব তাড়াতাড়ি কোনও কাজ শিখে নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে ওর মধ্যে।
Karnataka: Sindhuri, a 10-year old differently-abled girl from Udupi stitched face masks & distributed them to students appearing for School Leaving Certificate (SSLC) exams, yesterday. #COVID19 pic.twitter.com/zii6zhHuKk
— ANI (@ANI) June 25, 2020
করোনা আবহে গৃহবন্দি অবস্থায় অনেক গোপন প্রতিভাই প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ নিজের তাগিদেই 3D প্রিন্টার ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলেছে ফেস শিল্ড তো কেউ নিজে হাতে রান্না করে দুস্থদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে নিজের জমানো অর্থ সরকারি খাতে দান করেছে। এবার সামনে এল ছোট্ট সিন্দুরীর একহাতের কেরামতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.