সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা। আলাদা তাঁদের শারীরিক চাহিদা। সমস্যাগুলিতেও রয়েছে বৈচিত্র। যা কিছুটা হলেও মানুষের রাশির উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতাকেই জানা ভীষণ প্রয়োজন।
[যৌনতায় মেতে ওঠার আগে এই কাজগুলি করেন কি?]
এরিস- সবকিছুতেই এঁদের বড় তাড়া। ধৈর্য শব্দটি এঁদের ডিকশিনারিতে নেই বললেই চলে। কিন্তু যৌনতাকে ধীরে সুস্থে উপভোগ করতে হয়, তবেই মেলে পরমানন্দ।কিন্তু এই রাশির জাতকরা বড্ড তাড়াতাড়ি সবকিছু করতে চান। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঙ্গীর চাহিদা অপূর্ণ থেকে যায়।
টরাস- এঁদের মধ্যে আবার রক্ষণশীলতা বেশি। মনে প্রচুর চাহিদা থাকে। তুল্যমূল্য বিচারের ঠেলায় আসল কাজটিই করা হয়ে ওঠে না। একবার যদি নিজের মনের দ্বিধা কাটিয়ে সঙ্গীকে আপন করে নিতে পারেন তাহলেই কেল্লাফতে।
জেমিনি- যৌনতা নিয়ে কথা বলতে এঁরা পারদর্শী হন। ভাল গল্পও লিখতে পারেন। কিন্তু শারীরিক খেলার সময় আসলেই এঁদের মন ও শরীরের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। আর এতেই শরীরের সাধ অপূর্ণ থেকে যায়।
ক্যানসার- অতীত এঁদের পিছু ছাড়ে না। বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে বিছানায় শুয়েও এঁরা প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার কথা ভাবতে থাকেন। আর এটাই এঁদের যৌন জীবনের নিরানন্দের কারণ।
লিও- এঁরা শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। যৌনতার সময়ও এঁদের মাথায় চিন্তা থাকে তাঁর শরীরের বোধহয় সঙ্গী সন্তুষ্ট নন। মিলনের সময় সঙ্গীর প্রশংসা ভীষণভাবে শুনতে চান এঁরা।
ভার্গো- এঁদের সবকিছুই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। যৌনতাও নিখুঁত পরিকল্পনামাফিক চান এঁরা। কিন্তু জীবনে সমস্ত কিছু তো আর ছক কষে হয় না! একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই এঁদের মুড বিগড়ে যায়।
লিব্রা- এঁরা আবার যৌনতার ক্ষেত্রে সঙ্গীর সুখকে বেশি প্রাধান্য দেন। তবে মনে রাখবেন, যৌন সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয়ে ওঠে যখন দুই শরীর সমানভাবে সুখ ভোগ করে। তাই নিজের দিকটাও খেয়াল রাখবেন।
স্করপিও- এঁদের কামদেবের সঙ্গেও তুলনা করা যেতে পারে। সমস্ত প্রকার যৌনতাতেই সিদ্ধহস্ত হয়ে থাকেন এঁরা। শরীরের চাহিদাও বেশি থাকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এর জন্য পরে পস্তাতে হতে পারে।
স্যাজিটেরাস- শরীরী সম্পর্কে এঁদের কোনও আপত্তি নেই। বরং তাতেই আগ্রহ বেশি। কিন্তু সঙ্গীর পক্ষ থেকে কমিটমেন্টের চাহিদা শুরু হলেই এঁরা পিছিয়ে যান। সামাজিক বন্ধনে এঁদের বেজায় আপত্তি।
ক্যাপ্রিকর্ন- এঁদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে উৎসাহ একটু নয় অনেকটাই কম দেখা যায়। তাই উৎসাহ জোগাতে সঙ্গীদেরই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়।
অ্যাকোয়ারিয়াস- এঁরা সাধারণত কাজ পাগল হয়ে থাকে। তাতে ডুবে খুব সহজেই যৌনতাকে এড়িয়ে যেতে পারে। এমন মানুষকে বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে যৌন উত্তেজক ভিডিও কিংবা বার্তালাপের সাহায্য নিতেই পারেন।
পিসেস- এঁরা খুব সহজেই যৌনতায় উৎসাহ হারান। এঁদের জীবনে সবসময় বৈচিত্র চাই। এক ধরনের শরীরী মিলনে তা বড্ড তাড়াতাড়ি বিরক্ত হয়ে যান। তাই সঙ্গীকে প্রায় দিনই নয়া পন্থা ভেবে রাখতে হয়।
[বিছানায় ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পার্টনারের সঙ্গে এসব আলোচনা এক্কেবারে নয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.