সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতে ঘুমানোর আগে সাধের স্মার্টফোনটি নিয়ে খানিক নড়াচড়া না করলে ঘুম আসে না? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের হোমপেজ অন্তত একবার না দেখলে মনটা উসখুশ করে? এই সব লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে সাবধান! কারণ, এক নয়া সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, রাতে স্মার্টফোন হাতে যাঁরা বেশিক্ষণ সময় কাটান, তাঁদের ঘুমের বারোটা বাজতে বাধ্য৷
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষীয়ান অধ্যাপক ডাক্তার গ্রেগরি এম মার্কাস ৬৫৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর এই সমীক্ষা চালান৷ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঠিক কতক্ষণ মোবাইল হাতে রাখেন এক একজন ‘ইউজার’, এই সমীক্ষায় সেটা হিসাব করে দেখা হয়৷ সঠিক তথ্য জানতে কারও মুখের কথায় ভরসা না করে, প্রত্যেক ইউজারের স্মার্টফোনে একটি অ্যাপ ‘রান’ করানো হয় যেটি স্ক্রিনটাইমের নিখুঁত হিসাব রাখত৷
সমীক্ষার শেষে দেখা যায়, প্রতি রাতে অন্তত এক থেকে দেড় ঘন্টা করে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন স্মার্টফোনে আসক্তরা৷ ৩০ দিনের হিসাবে তাঁদের প্রায় ৪০-৫০ ঘন্টা সময় কাটে ফোনের পিছনে, তাও শুধু রাতে৷ বয়স যাঁদের কম, তাঁরাই বেশি সময় কাটান৷ সমীক্ষার ফলাফল আরও জানাচ্ছে, যে ইউজার যত বেশি ফোনের পিছনে সময় কাটান, তাঁর ঘুমের ঘনত্ব ততই কমতে থাকে৷ হিসাব কষে দেখা গিয়েছে, টিনএজারদের রাতে ঘুম হয় খুব পাতলা৷ তাঁদের ঘুম গাঢ় হয় ভোরের দিকে৷ এই প্রবণতাকে ‘বিপজ্জনক’ বলছেন অধ্যাপক গ্রেগরি৷
তিনি এও বলেছেন, “টিভি এখন আর ঘুমের ক্ষতি ততটা করে না৷ কারণ, মানুষ এখন টিভি ছেড়ে স্মার্টফোনকে সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছেন৷” স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো ঘুমের বারোটা বাজাতে যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি৷ স্মার্টফোনের স্ক্রিন একা নয় অবশ্য, ইউজারদের ঘুমোতে দেয় না সোশ্যাল নেটয়ার্কিং সাইটে স্ট্যাটাস বা ছবি পোস্ট করার আকাঙ্খাও৷ অন্য কেউ আমার আগে পোস্ট করে ফেলবে, এই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় স্মার্টফোনে আসক্তদের৷ বরং, অধ্যাপক গ্রেগরি বলছেন, গরিব মানুষ, যাঁদের হাতে স্মার্টফোন নেই, তাঁরা অনেক বেশি শান্তিতে ঘুমোন৷ স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা না থাকলে তাঁদের না ঘুমোনোর বিশেষ কোনও কারণ থাকে না বলে জানিয়েছেন গ্রেগরি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.