সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ডেবিট কার্ড জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন একের পর এক গ্রাহক৷ আর তাতেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হু হু করে৷ জানা যাচ্ছে, গত জুন-জুলাই মাস নাগাদ প্রথম ভাইরাস আক্রান্ত হয় এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম পরিষেবা৷ সেখান থেকেই অন্য ব্যাঙ্কের সিস্টেমেও ভাইরাস ছড়াচ্ছে৷ এই ভাইরাসের ফলেই ক্লোন হচ্ছে কার্ডের যাবতীয় তথ্য৷ আর তা কাজে লাগিয়েই সক্রিয় জালিয়াত চক্রগুলি৷ এর প্রতিকার কীভাবে সম্ভব তা খতিয়ে দেখছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ তবে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কয়েকটি জিনিস মাথায় রেখেই জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা-
১) কোনওভাবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও তথ্য যেন কাউকে না দেওয়া হয়৷ এটিএম আতঙ্কের জেরে ব্যাঙ্ককর্মী সেজেই জালিয়াতরা তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে৷ সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে৷
২) আপাতত অনলাইন ব্যাঙ্কিং না করে চেকে আর্থিক লেনদেন করাই শ্রেয়৷ মোবাইল বা সাইবার ক্যাফের কমপিউটরে লেনদেন ছেড়ে ব্যাঙ্কের কাউন্টারে পাসবইয়ের মাধ্যমে পুরনো প্রথায় ফিরে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত৷
৩) ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর দ্রুত বদলে ফেলুন৷ জন্মদিন, ফোন নম্বর বা চেনা কোনও নম্বর ব্যবহার করবেন না৷
৪) এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাঙ্কেই কেবলমাত্র সেই ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করা আবেদন জানাচ্ছে৷ নিরাপত্তার খাতিরে এটি মেনে চলা বিধেয়৷
৫) আপাতত কোনও শপিংমল বা দোকানে কার্ড সোয়াইপ মেশিন ব্যবহার না করাই ভাল৷
৬) অনলাইন শপিংয়েও আপাতত এই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত ইতি টানাই শ্রেয়৷
৭) এটিএমকার্ডের যাবতীয় তথ্য নিজের কাছে রাখুন৷ পিন নম্বর কোথাও লিখে রাখবেন না৷ মনে রাখুন৷ তবে কোনও কারণে কার্ড হারিয়ে গেলে বা ব্লক করাতে চাইলে সমস্ত তথ্য যাতে দিতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখুন৷
৮)এটিএম থেকে টাকা তোলার সমস্ত রসিদ বা এসএমএস নিজের রাখুন৷ অ্যাকাউন্টের হিসেবে গোলমাল হলে তা সহায়ক হবে৷
৯) রক্ষীহীন এটিএম কাউন্টারগুলি এড়িযে চলুন৷ কারণ এখান থেকেই কার্ডের তথ্য চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.