সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভানো৷ সমবেত হাততালি৷ তরপর কেকের উপর ছুরি চালিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশন৷ যে কোনও জন্মদিনে এ ছবিই দস্তুর৷ কিন্তু এই প্রথাতেই এক সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অষ্ট্রেলিয়ার ‘ন্যাশনাল হেল্থ ও ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল’৷ বাচ্চাদের এই মোমবাতি জ্বালানোর প্রথা থেকে বিরত করতে চেয়েছিল সংস্থাটি৷ তাতে অনেক মা-বাবা বিরক্ত হলেও কারণটা কিন্তু ফেলনা নয়৷
কী কারণে ছিল এই নিষেধাজ্ঞা? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জন্মদিনের কেকে গোঁজা মোমবাতি নেভানোর সময়ই কেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি৷ জন্মদিনের আনন্দে অনেকেই তা পাত্তা দেন না৷ কিন্তু বিষয়টি অবহেলার নয়৷ একদিকে যখন বাচ্চাদের হাত না ধুয়ে খেতে নিষেধ করা হচ্ছে তখন, উল্টোদিকে এরকম প্রথা শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে মারাত্মক ক্ষতিকর এমনটাই ধারণা তাঁদের৷
কিন্তু এ কি শুধুই ধারণার বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত? নাকি রীতিমতো পরীক্ষাও করা হয়েছে এ নিয়ে৷ ক্লেমশন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বিভিন্ন খাবার খাওয়ার রীতি নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন৷ তাঁরা পরীক্ষা করেই দেখেছেন, কেকে মোমবাতি যোগে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়৷ পল ডসন ও অন্যান্য গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখছিলেন, মোমবাতি নেভানোর পর কেকে সত্যিই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে৷ ঠিক যেভাবে প্রকাশ্যে হাঁচি-কাশিতে জীবাণু ছড়ায় সেভাবেই এই সংক্রমণ ঘটে৷ যে সব বাচ্চারা ভালভাবে ফুঁ দিতে পারে না, তাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরও বেশি দেখা দেয়৷ এই গবেষকদল দেখেছেন বাচ্চারা ফুঁ দেওয়ার পর অন্তত ৩০০০ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে কেকের উপর৷ এক বাচ্চার থেকে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আরও এনেক বাচ্চার৷ অনেক দেশের স্কুলেই জন্মদিন সেলিব্রেশনে মোমবাতি নেভাতে হলে এ কারণেই কাপ কেক বেছে নেওযা হয়৷
তবে সবসময়ই কি জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে? গবেষকদের মতে, যে ব্যক্তি ফুঁ দিচ্ছেন তিনি যদি অসুস্থ হন, তাহলে তো সম্ভাবনা ষোলআনা৷ তাই নিরাপদ থাকতে ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভানোর প্রথা থেকে দূরে থাকায় ভাল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.