সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবসর মানেই তা বোকাবাক্সের আওতায়। আধুনিক জীবনে তা যেন দস্তুর হয়ে উঠেছে। কিন্তু দিনে বেশিক্ষণ টিভি দেখলে মারাত্মক এক বিপদের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। যেমন তেমন নয়, পুরুষরা পড়তে পারেন প্রজননের সমস্যায়। কেননা সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, যাঁরা বেশিক্ষণ টিভি দেখেন তাঁদের স্পার্ম কাউন্ট বা বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে থাকে।
[ কেমন ছিল অর্গ্যাজমের প্রথম অভিজ্ঞতা? জানালেন মহিলারা ]
বেশিক্ষণ টিভির সামনে যাঁরা বসে থাকেন তাঁরা ক্রমাগত খেতেও থাকেন। দিনে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি যাঁরা টিভিমুখো হয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যেই এই প্রবণতা বেশি। অধিকাংশ সময়েই জাঙ্ক ফুড খান তারা। ফলে শরীরের মধ্যে নানারকম রাসায়নিক প্রবেশ করতে থাকে। এর দুরকম কুফল দেখা যায়। প্রথমত, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে শরীরে মেদবৃদ্ধি ঘটে। তাতে ক্লান্তি আসে। এছাড়া কোলেস্টেরল জমে যাওয়ার ফলে ব্লাড ক্লট হয়ে মৃত্যু বা ফুসফুসের সমস্যার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। দ্বিতীয়ত, এই ধরনের রাসায়নিক পুরুষ শরীরে শুক্রাণুর গঠন বদলে দেয়। বা সেগুলিকে মেরে ফেলতে থাকে। ফলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে থাকে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, যাঁরা বেশি টিভি দেখেন তাঁদের শুক্রাণু সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ কম।
[ সকালে উঠে এই ৬ কাজ অবশ্যই করুন, আপনার দিন বদলে যাবে ]
প্রায় ২০০ জন যুবকের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ২২-এর মধ্যে। খাওয়াদাওয়া ও টিভি দেখার প্রতি যারা আসক্ত, তাঁদের বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে যারা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে তাদেরও বীর্যের নমুনা নেওয়া হয়। দেখা যায় আসক্তদের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি মিলিমিটারে ৩৭Mn । অন্যদিকে বাকিদের ক্ষেত্রে তার সংখ্যা প্রতি মিলিমিটারে ৫২Mn। আইভিএফ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত পুরুষরা শারীরিকভাবে সক্ষম, এবং খেলাধুলো বা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের বীর্যে শুক্রাণু সংখ্যা সাধারণের থেকে বেশি হয়। তবে অতি ব্যায়ামে আবার সমস্যা আছে। এখনকার দিনে বডি বিল্ডিংয়ের কারণে অনেকেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন। তার জেরেও শরীরে শুক্রাণু নষ্ট হয়। আবার যাঁরা বেশি খাওয়াদাওয়া করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একমাত্র সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এই সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে।
[ চুম্বনেই চিনে নিন তাঁর ভালবাসার গভীরতা… ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.