Advertisement
Advertisement

সারাক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ! কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানেন তো?

কাজের খাতিরে মোবাইল ঘাঁটতে হলে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন?

Using smartphones increases risk of dry-eye disease
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 24, 2018 3:23 pm
  • Updated:June 11, 2018 3:14 pm  

জিনিয়া সরকারঃ সকালে ঘুম ভাঙা থেকে রাতে শুতে যাওয়া- মোবাইল এক মিনিটের জন্যও হাত ছাড়া করার উপায় নেই। যদি কখনও ভুল করে অন্যের হাতে চলে যায় তবে মনে শুধু আতঙ্ক। এক ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপ চেক না করলে কী যেন একটা করা হয়নি, মনে অস্বস্তি কাজ করে। চার্জ শেষ হয়ে এলেই দুশ্চিন্তা। যাকে চোখের আড়াল করতে এত ভয়, সেই বস্তুটিই চোখের সবচেয়ে বড় ভিলেন। ক্ষতি জেনে তবেই সিদ্ধান্ত নিন মুঠোফোনে মেতে থাকবেন কি না।

eye-3

Advertisement

[ফ্যাশনেই সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা পেরনোর বার্তাও]

নীল আলোর প্রকোপ: একটানা মোবাইলের স্ক্রিনে চেয়ে থাকলে ফোনের আলো চোখের উপর খুব চাপ সৃষ্টি করে। কারণ এই আলো চোখের কর্নিয়া ও মণির মধ্য দিয়ে সরাসরি ভিতরে প্রবেশ করে, চোখ কোনওভাবেই এই আলোর তীব্রতা ফিলটার করতে পাড়ে না। ফলে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা থেকে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’— এই সমস্যা শুরু হয়। মূলত বয়সজনিত কারণে চোখের এমন সমস্যা হয়। তবে বর্তমানে খুব কম বয়সিদের মধ্যে এমন সমস্যা বা জুভেনাইল ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মোবাইলের নীল আলো। ফোনের দিকে একটানা চোখ আটকে থাকলে লাল হয়ে যায়, মনোসংযোগের অভাব দেখা যায়, মেলাটোলিন হরমোনের অভাবে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়, সারা শরীরে ব্রণর প্রবণতা বাড়ে। শিশুর মানসিক ও শারীরিক নানা পরিবর্তন হতে থাকে। শুধু শিশুরাই নয়, বর্তমানে এমন সমস্যায় বয়স্করাও আক্রান্ত।

eye-2

[এই তিন মন্ত্রে আপনার সোলো ট্রিপ হয়ে উঠবে আরও মনোরম]

ফাঁদে ছোটরা: ফোনের আলোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি কমবয়সিদের। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ নিজে থেকেই ক্ষতিকর আলো, বিষাক্ত কোনও উপাদান ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই করতে পারে। চোখের লেন্স হলুদ বর্ণের হতে থাকে ফলে ক্ষতিকর নীল আলো সরাসরি চোখে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু শিশুদের চোখ যেহেতু পুরোপুরি তৈরি হয় না তাই এই আলো সরাসরি প্রবেশ করে অল্পতেই চোখের ক্ষতি করে। ফলস্বরূপ শিশুদের চোখে স্ট্রেস, ক্যাটারঅ্যাক্ট, মাথাব্যথা ও রেটিন্যাল ড্যামেজের প্রবণতা খুব বাড়ছে। প্রয়োজনে ইউভি প্রটেকটেড গ্লাস পরে মোবাইল দেখা উচিত, ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে তবে তা ব্যবহার করলে উপকার। আর ফোনের স্ক্রিন যেন ছোট না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বড়রা চ্যাট করার সময় ফোনের ফন্ট সাইজ বড় করে তবে লিখুন। এতে চোখের উপর চাপ অনেকটা কমানো যায়। একদৃষ্টিতে ফোনের দিকে তাকিয়ে না থেকে বারবার চোখ পিটপিট করলে খুব ভাল।

eye-1

বাঁচতে অ্যাপস: একান্তই যদি অনেকক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করা উচিত। ফোনে রাখুন ব্রাইটনেস কমিনোর অ্যাপস। যা নিজে থেকেই মোড পরিবর্তন করে মোবাইলের আলোর তিব্রতা কমায়। ডাউনলোড করে নিন f.lux অথবা Blue light filter-Night Mode অ্যাপস। ফোন ব্যবহারের সময় ব্যাকগ্রাইন্ড কালার খুব হালকা রাখুন।

[আপনি কি খুব রোগা? তাহলে এই ধরনের পোশাক পরা উচিত]

মনে রাখুন:

১৷ রাত্রিবেলা অন্ধকার ঘরে মোবাইলের দিকে দীর্ঘক্ষণ চেয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি মারাত্মক। শরীরে ন্যাচারাল রিদম বিনষ্ট হয়, ওবেসিটি, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক ও মানসিক অবসাদ
বাড়ে। তাই ঘুমনোর আগে মোবাইল ঘাটাঘাটি নয়।

২৷ সাধারণত ৬-৭ ইঞ্চি চোখ থেকে দূরে রেখে মোবাইল ব্যবহার করা হয়, এতে ক্ষতি। চেষ্টা করুন ১২-১৫ ইঞ্চি দূরত্বে ধরে ফোন ব্যবহার করতে।

৩৷ ফোনের আলো খুব কম বা বেশি দুটোতেই ক্ষতি। যেমন আলোর মধ্যে আপনি রয়েছেন সেই অনুযায়ী ফোনের ব্রাইটনেস সেট করুন। দিনের আলোতে থাকলে ব্রাইটনেস একটু বেশি
ও অন্ধকারে ব্রাইটনেস কম চোখের জন্য ভাল।

৪৷ খুব বেশি দাগ ধরা স্ক্রিনে বেশিক্ষণ চেয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement