ছবিতে মহিষাদল রাজবাড়ি, ছবি: রঞ্জন মাইতি।
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: রাজবাড়িতে রাত্রিবাস৷ রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা। রাজবাড়িতেই পছন্দের পদ দিয়ে পেটপুজো৷ আর বিনোদনের চশমা পরে নস্টালজিয়া মাখতে মাখতে রাজবাড়ির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে দেদার ঘুরে বেড়ানো৷ এক লহমায় এমন রুদ্ধশ্বাস জার্নির নায়ক কিন্তু আপনি হতেই পারেন৷ পুজোর আগে মহিষাদল রাজবাড়িতে ‘হোম স্টে’ পর্যটন ভাবনা রূপ পাচ্ছে। এমনই খুশির বার্তা দিয়েছেন রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ৷
রাজবাড়ির মধ্যে সুসজ্জিত দুটি কক্ষ৷ একটিতে তিনটি বেড, অপরটিতে রয়েছে দুটি বেড৷ মোট ছয় আর চার জন বেশ ভালভাবেই থাকতে পারবেন৷ ভাড়া তো কিছু লাগছেই৷ তবে আনন্দ উপভোগের পাল্লা তার থেকে অনেক বেশি৷ ছ’কোটি টাকা খরচ হেরিটেজ রাজবাড়ি সংস্কারের কাজও শুরু করেছে সরকার৷ সেই বাড়িরই অন্যপ্রান্তে থাকার ব্যবস্থা৷ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রাজবাড়ি চত্বরে তৈরি হয়েছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমে ঝর্ণা৷ রাতের মায়াবি নিয়ন আলোয় এই ঝরনার রূপটাই আলাদা৷ ঝর্ণার জলছন্দে গানের সুর মূর্ছনা মনে দোলা দেবে ৷ পুজোর আগে তাই এই হেরিটেজ রাজবাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে৷ রাজবাড়ির প্রবীণ সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ জানিয়েছেন, ‘মহিষাদল রাজবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে সরকার৷ সেই মতো সংস্কারের কাজও চলছে৷ হোমস্টে চালু করা হয়েছে৷ শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা-সহ থাকার জন্য রাজবাড়ি হোম স্টেটি বেছে নেবেন আশা করি৷ ইতিমধ্যে কলকাতার মানুষজন বুকিং করেছেন৷ ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে৷’
পর্যটক টানতে রাজবাড়ির সামনে তৈরি হয়েছে সুদৃশ্য বাগান৷ বাড়তি পাওনা সংগ্রহশালা৷ বিভিন্ন রাজার ছবি, তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, শিকার করা বাঘ, ভালুক, হরিণ-সহ অন্যান্য জীবজন্তু স্থান পেয়েছে সংগ্রহশালায়৷ রয়েছে সংগীত সাধনার বিবিধ সামগ্রী। পাশে বিস্তীর্ণ আম্রকুঞ্জ৷ আমগাছের গায়ে হেলান দিয়ে খোশগল্প করার সুযোগটুকুও নস্টালজিয়ার আবহে টেনে নিয়ে যাবে৷ পুজোর প্রাক মুহূর্তে তাই মহিষাদল রাজবাড়ির হোমস্টেকে ঘিরে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.