স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: একে পর্যটনের ভরা মরশুম। তরাই-ডুয়ার্সে জঙ্গল বন্ধ হতে চলেছে। পাহাড়েও জায়গা নাই দশা। এই পরিস্থিতিতে মনসুন টুরিজমকেই হাতিয়ার করতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। দপ্তরের মন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, বর্ষার মরশুমেও উত্তরবঙ্গে এলেও বিমুখ হবেন না পর্যটকরা। জঙ্গলের কোর এলাকায় ঢুকতে না পারলেও তার আশপাশের এলাকায় দিব্যি বেড়াতে পারবেন তাঁরা। আগে এনিয়ে কড়াকড়ি থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে তা এখন অনেকটাই শিথিল। এবং এই শিথিলতার হাত ধরেই এখন বর্ষার মরশুমেও ডুয়ার্সে পর্যটনের রমরমা।
[কম খরচে ১০ দিনের ভারত ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে রেল]
পর্যটনমহলের দীর্ঘদিনের দাবি মনসুন টুরিজমকে তুলে ধরতে উদ্যোগী হোক রাজ্য পর্যটন দপ্তর। আইন রক্ষা করেই বর্ষায় জঙ্গলের স্নিগ্ধ রূপকে কী করে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যায় সে লক্ষ্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল পর্যটন দপ্তরও। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী পশুদের প্রজননের স্বার্থে প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিন মাস জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাকে এই সময় ব্যবহার করে জঙ্গল দর্শনের স্বাদ অনেকটাই মেটাতে পারেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। সেই মতো প্রচারও শুরু হয়েছে। এর ফলে এখন বর্ষার মরশুমেও পর্যটকরা আসছেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের জঙ্গল লাগোয়া হোটেল, রিসর্টগুলিতে বর্ষাতেও ভাল বুকিং রয়েছে।
ডুয়ার্সের একটি রিসর্টের ম্যানেজার প্রশান্ত দত্ত জানালেন, “অনেক পর্যটকই নেহাত ছুটি কাটাতে আসেন, তাঁদের কাছে জঙ্গলের পশুপাখি দেখার থেকেও জঙ্গলে সময় কাটানোটা বেশি আকর্ষণীয়। আর এখন গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখা যায়। ফলে বর্ষাতেও পর্যটকরা ভিড় করছেন।” গৌতম দেব বলেন, “বর্ষার সময় আমরা মনসুন টুরিজমের ভাবনাকে তুলে ধরতে চাইছি। পাহাড়ে পর্যটকদের থাকার সমস্য মেটাতে হোমস্টে-র প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” পর্যটন দফতরের উদ্যোগকে স্বাগত জানান, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড টুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, “বর্ষাতেও অনেক পর্যটক উত্তরবঙ্গে আসেন, তাঁদের জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হলে তা অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক হবে।”
[দেশের এই তিন শহরের হোটেল বুক করার আগে আবার ভাবুন!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.