শীর্ষেন্দু: গঙ্গাবক্ষে দূর থেকে বয়ে আসছি বজরাখানি৷ তোপসের কাছ থেকে দূরবীন চেয়ে তাতে চোখ রাখল ফেলুদা৷ ‘মগনলাল মেঘরাজ নাম শুনেছেন তো!’ পাশ থেকে বলে উঠলেন হোটেল ম্যানেজার নিবারণ চক্রবর্তী৷
‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর এই দৃশ্য আজও বাঙালি মনে অমলিন৷ অমলিন সেই গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন বারাণসী বা কাশীধাম৷ যার পরতে পরতে রয়েছে ধর্ম-ইতিহাস-স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন৷ সেই টানেই সারা সারা দুনিয়া থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরে৷
কী কী দেখবেন –
কাশী বা বারাণসীর আকর্ষণ বিখ্যাত বিশ্বনাথ মন্দির
যুগযুগ ধরে বয়ে চলা গঙ্গা ও পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কাশীর ৮৭টি ঘাট
অজস্র সরু সরু গলির গোলকধাঁধা জড়িয়ে থাকা ইতিহাস
প্রাচীন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং অজস্র ছোট-বড় মন্দির
কীভাবে দেখবেন –
ভোরে এবং সূর্যাস্তের পরে দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গার আরতি অবশ্য দর্শনীয়৷ মোটরবোট ভাড়া করে গঙ্গার ঘাটগুলো দেখে নেওয়া যাবে৷ দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গার বুকে মোটরবোটে বসে চন্দ্রগ্রহণ দেখা–এক অনন্য অনুভূতি৷
আর অবশ্যই গঙ্গার আরতি৷ সামনে মশাল নিয়ে আরতি নৃত্য, তার সঙ্গে জলদগম্ভীর কণ্ঠে শ্লোক ভজন এবং অবিরাম কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ৷ শয়ে-শয়ে মোটরবোটে, নৌকায় দেশি-বিদেশি মানুষের ঢল৷
কাশীর ৮৭টি ঘাটের মধ্যে দশাশ্বমেধ, মণিকর্ণিকা, পঞ্চগঙ্গা, কেদার ও অসিঘাটের বিশেষ মাহাত্ম্য৷ দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছেই বিশ্বনাথের মন্দির৷ রয়েছে অন্নপূর্ণা মন্দির৷ ‘মন্দির শহর’ নামেই বারাণসীর মূল খ্যাতি৷
ইতিহাসে আছে সারনাথ, বুদ্ধগয়ায় দিব্যজ্ঞান লাভের পরে বুদ্ধদেব প্রথম পাঁচজন প্রিয় শিষ্যকে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা দিয়েছিলেন এইখানেই৷ এইখানেই রয়েছে সম্রাট অশোকের তৈরি অশোক স্তম্ভের শীর্ষে অশোকচক্রের উপরে অবস্থিত অনবদ্য সিংহ-মূর্তি৷এক কথায় মদনমোহন মালব্যর স্বপ্নের ফসল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দুর্দান্ত বলাই যায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.