দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে (WB Tourism Map) খুব শীঘ্রই রদবদল ঘটতে চলেছে। বাড়তে চলেছে রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা। বাংলার পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে স্থান করে নিতে চলেছে হুগলির দুই বিশেষ এলাকা-মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ পরিদর্শন করেন।
মাহেশের রথ দেখতে প্রতিবছর ভীড় জমান বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা জমা হন সেখানে। এবার সেই মন্দিরকে পর্যটনক্ষেত্রের মর্যাদা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ফলে শুধুমাত্র রথের সময়ই নয়, সারা বছরই পর্যটকরা সেখানে যেতে পারবেন। শুধু রাজ্যের পর্যটকই নয়, পর্যটন মানচিত্রে স্থান পাওয়ার ফলে ভিনরাজ্য ও ভিনদেশী পর্যটকদের কাছেও পৌঁছে যাবে এই ঐতিহাসিক মন্দির। এদিকে পিকনিক স্পট হিসেবে জনপ্রিয়তা রয়েছে সবুজদ্বীপের। তবে পর্যটকদের কাছে এখনও সেভাবে সমাদৃত নয় এই এলাকা। তাই এবার নয়া উদ্যোগ রাজ্যের।
মাহেশের মন্দিরে কাজের অগ্রগতি দেখে ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “মন্দিরের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। ২০১৯ সালে শুরু হয় কাজ। তারপর করোনার জেরে কাজ কিছুটা ধীরগতিতে হলেও এখন এক থেকে দুই শতাংশ বাকি রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “রথযাত্রার আগেই জিটি রোডের উপর গেট তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
মন্ত্রী মাহেশের উন্নয়ন নিয়ে জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, মন্দির কমিটির সেক্রেটারি পিয়াল অধিকারী-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিং সবুজ দ্বীপ পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেইসময় সবুজ দ্বীপকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করে রাজ্য। পরে ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ দ্বীপকে ইকো পার্ক হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালে শুরু হলেও করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছিল। বিধানসভা ভোটের পর ফের কাজ দ্রুতগতিতে হচ্ছে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, “কয়েক মাসের মধ্যেই সবুজ দ্বীপের কাজ শেষ হবে।” জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান ও জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.