শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রেলগাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম…। দার্জিলিংয়ের সবুজ পাহাড়ি পথ চিরে বেরোন টয়ট্রেন দেখেই হয়তো বহুদিনের এই প্রবাদবাক্যের জন্ম। সমতল থেকে রওনা দিয়ে পাহাড়ের বাঁক ঘুরে টয়ট্রেন পৌঁছচ্ছে পাহাড় চূড়ায়! অনেকেরই শৈশবের সেই নস্টালজিক সেই অনুভূতি এবার মিলবে জলপাইগুড়ি শহরে। এখানে পাহাড়ের বাঁক না থাক, জঙ্গলের বাঁক ঘুরে যাওয়া এই ট্রেন মনে করিয়ে দেবে অতীতের সব স্মৃতি।
[সিঙ্গাপুর-ব্যাংককের মতো টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম এবার শিলিগুড়িতেও]
শহরে করলা নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা চিলড্রেন্স পার্ককে শিশুদের কাছে পুনরায় আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার জলপাইগুড়ি পুরসভার টয় ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে যাবতীয় কথা হয়ে গিয়েছে। সবেমিলিয়ে শহরের এই প্রাচীন পার্কের প্রাণ ফেরাতে খরচ ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এমনটাই জানালেন পুরপ্রধান মোহন বসু। স্বাধীনতার পরপরই জলপাইগুড়ি শহরের শিশুদের বিনোদনের জন্য গড়ে ওঠে এই চিলড্রেন্স পার্ক। আটের দশক পর্যন্ত যা ছিল শহরে বিকেলে বেড়ানোর অন্যতম ঠিকানা। করলা নদীর পাড় ঘেঁষে এই পার্কে শৈশব-কৈশোর জীবন কেটেছে অনেকেরই। সেই স্মৃতি আজও অনেকের মনে অমলিন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে আজ ভগ্নপ্রায় সেই পার্ক। বিগত কয়েক দশক ধরে যা হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সমাজবিরোধীদের আড্ডাস্থল। জলপাইগুড়ির পুর প্রধান মোহন বসু বলেন, পার্কের এই বেহাল দশা দেখে বহু মানুষ তাঁদের হতাশার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা পার্কটির পুনরুদ্ধারের কথা বলেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই পুরসভার এই এগিয়ে আসা। পার্কটিকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। যার মধ্যে একটি টয়ট্রেন। পুরপ্রধান আরও জানান, সম্প্রতি উত্তরকন্যায় এই পরিকল্পনার কথা শুনে খুশি হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গ্রিন সিটি প্রকল্পের মধ্যে এই পার্কটিকে ধরা হয়েছে। পার্কটিতে শিশুদের বিনোদনের সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে ট্রয়ট্রেন। আগামী বছরের মধ্যেই পার্কটিকে খুলে দেওয়া হবে সাধারণের জন্য।
[ সাধ্যের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ, ঘুরে আসুন ইন্দোনেশিয়ার দু’টি আকর্ষণীয় স্থান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.