Advertisement
Advertisement

টানেল ৩৩-এ কীসের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়?

পাহাড় কেটে রেল লাইন তৈরি হয়৷ নিরাপত্তার খাতিরেই টানেলের ভিতর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে৷ তাহলে টানেল ৩৩ নিয়ে ভয় কীসের? কেন এটি আর পাঁচটি টানেলের থেকে আলাদা? কীসের আতঙ্ক সেখানে তাড়া করে বেড়ায়?

The Barog Tunnel (Tunnel No. 33) Shimla
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 25, 2016 9:53 pm
  • Updated:March 1, 2019 3:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতে ট্রেনে চেপে সিমলা গেছেন কখনও? রাস্তায় কোনও অন্ধকার টানেল অতিক্রম করতে হয়েছিল? না করে থাকলেই ভাল৷ পরবর্তীকালেও যাতে টানেল ৩৩-টি ভিতর দিয়ে না যেতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন৷ কারণ আর পাঁচটা জায়গার মতো সেই জায়গা নয়৷ ঘন কালো অন্ধকার আপনাকে টেনে নিয়ে যেতে পারে অলৌকিক দুনিয়ায়৷
পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময়ই টালেনের অন্ধকার চিড়ে ট্রেন ছুটে চলে৷ পাহাড় কেটে রেল লাইন তৈরি হয়৷ নিরাপত্তার খাতিরেই টানেলের ভিতর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে৷ তাহলে টানেল ৩৩ নিয়ে ভয় কীসের? কেন এটি আর পাঁচটি টানেলের থেকে আলাদা? কীসের আতঙ্ক সেখানে তাড়া করে বেড়ায়?

Tunnel No. 33-6১১৪৩.৬১ মিটার দীর্ঘ টানেলটি তৈরির ইতিহাসেই লুকিয়ে এর ভয়ঙ্কর দিকটা৷ ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে কোনও ট্রেনের টানেলটি অতিক্রম করতে লাগে আড়াই মিনিট৷ বিশ্বের দীর্ঘতম সোজা টানেল বলে পরিচিত এটি৷ ইংরেজ আমলে টানেলটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন কর্নেল বারোগ৷ তিনি ছক কষেছিলেন, কর্মীদের দিয়ে দু’দিক থেকে টানেল কাটানোর কাজ করাবেন৷ যাতে মধ্যিখানে এসে টানেল দু’টি মিলে যেতে পারে৷ এতে কাজ চটপট হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস ছিল তাঁর৷ সেই মতো কাজ শুরুও হয়৷ কিন্তু অদ্ভূতভাবে টানেলের দু’প্রান্ত একে অপরের সঙ্গে এসে মেলেনি৷ বারোগের হিসেব একেবারেই ভুল প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এই কাজের যোগ্য নন বলে অপমান করে তাঁকে সরিয়ে দেয় তৎকালীন সরকার৷ এমনকী তাঁকে ১ টাকা জরিমানাও দিতে হয়েছিল৷ অন্য ইঞ্জিনিয়ারকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ এরপরই সেই টানেলের কাছে নিজের পোশ্য কুকুরের সামনে গুলি করে আত্মহত্যা করেন অপমানিত বারোগ৷ স্থানীয়রা বারোগের মৃতদেহ সেই অর্ধেক তৈরি টানেলের সামনেই কবর দিয়ে দেন৷ তারপর থেকেই সেই জায়গাটি বারোগ নামে পরিচিত৷ ১৯০৩ সালে অন্য ইঞ্জিনিয়ার সিমলা-কালকা লাইনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া টানেলটি তৈরির কাজ শেষ করেন৷ প্রয়াত কর্নেলের নামেই নামকরণ হয় সেটির৷ কিন্তু বারোগের অতৃপ্ত আত্মা মুক্তি পায়নি৷
অনেকেই সেই টানেলে অপ্রাকৃতিক ঘটনা অনুভব করেছেন৷ ১৪০ গজ দীর্ঘ টানেলটির ভিতরটা বেশ স্যাঁতস্যাতে৷ একবার এক মহিলা নাকি চিৎকার করতে করতে টানেলের ভিতর ঢুকে পড়েছিলেন৷ সেখানে হঠাৎই এক ব্যক্তি মহিলাকে তাঁর সিগারেটটি জ্বালিয়ে দিতে অনুরোধ করেন৷ এমনই নানা ঘটনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই টানেল জুড়ে৷ এটির মুখ একবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু গেটের তালাটি ভেঙে যায়৷ তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, বারোগের অতৃপ্ত আত্মা কারও ক্ষতি করে না৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement