ছবি: অরিজিৎ সাহা।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় নতুন আকর্ষণ ‘বাংলার মন্দির দর্শন’। তীর্থযাত্রীরা বাংলার ঐতিহ্যশালী মন্দিরগুলি দর্শন করতে পারবেন এই সাগর মেলাতেই। মেলার যাত্রাপথের বিভিন্ন স্থানে থাকছে বাংলার বেশ কিছু আদি মন্দির ও দেবদেবীর থ্রি ডি মডেল। পাশাপাশি গতবারের মতো এবারও গঙ্গাসাগর সমুদ্রতটে অনুষ্ঠিত হবে ‘সাগর আরতি’। তবে এবার আর একদিন নয়, মেলাপ্রাঙ্গনে তিন দিনের বিশেষ ‘সাগর আরতি’র আয়োজন করা হয়েছে।
গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে অনেকেই বাংলার ঐতিহ্যবাহী মন্দির, তীর্থস্থানগুলি দর্শনের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সময়ের অভাবে ও যাতায়াতের অসুবিধার জন্য সেই ইচ্ছেপূরণ হয় না। সেই আশাপূর্ণ করতে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন মেলা চত্বরেই বাংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত মন্দির ও তীর্থস্থানগুলি দর্শন করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কালীঘাট মন্দির, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের মন্দির-সহ অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রগুলি মেলা চত্বরেই দর্শন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা।ল কীভাবে দর্শন করবেন পুণ্য়ার্থীরা?
জানা গিয়েছে, প্রবেশ ও বহিরাগমনের পথে বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি হবে মন্দিরগুলির প্রতিলিপি। এই রেপ্লিকা তথা প্রতিলিপি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপের প্রস্তুতকারকরা। বানানো হবে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের ও মালদহের জহুরী কালীমন্দির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলার যাত্রাপথের থাকছে বাংলার বেশ কিছু আদি মন্দির ও দেবদেবীর থ্রি-ডি মডেল।
এবারই প্রথম সমুদ্রতটে বিশেষ সাগর আরতি হবে তিনদিনই। ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি প্রতি সন্ধ্যায় সাগরতটে হবে এই সন্ধ্যা আরতি। ১৪ জানুয়ারি থাকছে মহাসাগর আরতির আয়োজন। এদিন ১০০ ঢাকি সহযোগে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিতা ১০০ জন মহিলা ও ৪০ জন পণ্ডিত অংশ নেবেন এই আরতিতে। সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাগরসঙ্গমে এসে সমবেত হবেন তাঁরা। শুরু হবে মহা সাগর আরতি। পণ্ডিতদের কন্ঠে পবিত্র বেদ মন্ত্রোচ্চারণে এবং শত ঢাকের বাদ্যি, শতাধিক মহিলার সম্মিলিত শঙ্খনাদ ও প্রদীপশিখার অনির্বাণ আলোকে চলবে সেই মহাসাগর আরতি। এছাড়াও এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় থাকছে ই-স্নান ও ই-পুজোর ব্যবস্থা।
তীর্থযাত্রী ও প্রশাসনের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে জেলা প্রশাসনের আর এক উদ্যোগ নিয়েছে, নাম ‘বন্ধন’। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে সাগরমেলায় আসা তীর্থযাত্রীদের প্রতি জেলা প্রশাসনের কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানাতে দেওয়া হবে শংসাপত্র। প্রসঙ্গত, সাগরমেলার শুরু ৮ জানুয়ারি থেকে। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মহাস্নান শুরু ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে। শেষ হবে পরদিন অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৬টা ৫৩ মিনিটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.