তিতাস রায় বর্মন: এতদিনে চলে আসার কথা, কিন্তু এল না৷ উত্তরে চলে এসেছে, কিন্তু দক্ষিণে এখনও এল না৷ নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কলকাতাবাসী আর তেমন ভাবে বৃষ্টিতে ভেজার সুযোগ পেল কই? বৃষ্টিতে ভেজার সুযোগ যবে পাবেন, তবে পাবেন৷ কিন্তু, ইচ্ছে মতো বেরিয়ে পড়ার সুযোগ তো হামেশাই আছে৷ কারণ ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়৷
আর উপায় হলে বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের স্থান উত্তরবঙ্গ৷ যেখানে ছাদের ধারের রেলিংয়ের নস্টালজিয়ায় সেখানে রয়েছে সাধের শ্রীখোলা৷ দার্জিলিঙের এই ছোট্ট গ্রামে সচরাচর পর্যটকরা যান না৷ তবে ট্রেকিং করতে যারা যান শ্রীখোলার সৌন্দর্যে ক্ষণিকের জন্য হলেও থমকে যান৷
কী দেখবেন-
কীভাবে যাবেন –
কোথায় থাকবেন –
শ্রীখোলা নদীর উপরে জিটিএ লজ রয়েছে৷ আগে থেকে সেখানে ঘর বা ডর্মিটোরি বুক করে যেতে পারেন৷ এছাড়াও রয়েছে হোটের শোভরাজ ও গোপর্মা লজ৷ থাকার জায়গা তো সেখানে পাবেনই, আপনার ট্রেকিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেবে তাঁরা৷
কী খাবেন –
খাবারের ভ্যারাইটি পাওয়া এখানে মুশকিল৷ খানিক খরচসাপেক্ষও বটে৷ মূলত নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়৷ তবে ইয়াক-এর মাংস পাওয়া যায় কখনও কখনও৷ আর হ্যাঁ, মিলবে রডোডেনড্রন ওয়াইন৷
মনে রাখবেন –
এখানে ফোনের টাওয়ার পাওয়া দুষ্কর৷ নেপালের সীমান্ত এলাকা বলে, যে কোনও সময় ইন্টারন্যাশনাল সিগনাল ধরে নেয়৷ গোটা রুটেই ইলেকট্রিকের সমস্যা৷ সোলারে চলে বলে ফোন চার্জ বা ক্যামেরা চার্জ দেওয়া যায় না৷ রাতেও ঘরে থাকবে সামান্য পাওয়ারের আলো৷ সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখা অবশ্য কর্তব্য৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.