সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন ফাল্গুন। পৌষ তো বটেই, মাঘ বিদায় নিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে। কিন্তু বরফের চাদরে এখনও মুড়ে রয়েছে ধুতরে, টইগার হিল, সান্দাকফু, টংলুর মতো এলাকা। গত দু’দিন ধরে শৈলশহরগুলিতে চলছে তুষারপাত। বুধবারও আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়নি। এদিনও সকাল থেকে তুষারপাত চলছে শহরগুলিতে। বছরের এই সময় শৈলশহরগুলিতে ঠান্ডা থাকলেও তুষারপাত হয় না। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম। অসময়ের এই তুষারপাত পর্যটকের কাছে এখন বিশেষ আকর্ষণ।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে শীত। বসন্তের আমেজ তিলোত্তমাজুড়ে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এখনও জাঁকিয়ে বসে রয়েছে শীত। বিহারের উপর দিয়ে যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে, তার জেরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে উত্তর ভারতে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে গত দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। আর উত্তরবঙ্গে হয়েছে শিলাবৃষ্টি। কোথাও কোথাও হয়েছে তুষারপাত। বুধবার সকালেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে সান্দাকফু, টংলু, টাইগার হিলে তুষারপাত হয়েছে ভালই। বরফে ঢেকে রয়েছে এলাকাগুলি। ভরা বসন্তে এভাবে তুষারপাতের সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি পর্যটকরা। যদিও এই অকাল তুষারপাত থেকে বঞ্চিত রয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। কিন্তু দুধের স্বাদ অনেকটাই ঘোলে মিটিয়েছে শিলাবৃষ্টি। তবে কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের কোথাও কোথাও তুষারপাত হয়েছে বলে খবর।
বছরের এই সময়টা শীত বিদায় নেওয়ার পালা। দক্ষিণবঙ্গে যেমন বসন্ত আসে, উত্তরবঙ্গেও কমতে থাকে শীতের আমেজ। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম। ফেব্রুয়ারির শেষ কার্শিয়াং, কালিম্পং-সহ বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত হওয়ায় পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে। অসময়ে তুষারপাতের খবর পেয়ে অনেকেই ছুটে আসছেন শৈলশহরগুলিতে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও চলছে তুষারপাত। উত্তর সিকিম তো বটেই, রাজধানী গ্যাংটক ও ছাংগুতেও শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাতের সাক্ষী থাকছেন পর্যটকরা। তবে সিকিমে বরফের দেখা যে এই সময় একেবারেই মেলে না, তা নয়। তবে তুষারপাত অবশ্যই বাড়তি পাওনা। ফলে শীত নিয়ম ভাঙলেও আদতে শাপে বর হয়েছে পর্যটকদের। তাঁরা চুটিয়ে বেড়ানো উপভোগ করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.