Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাবেরী নদীর তীরে শিব ঠাকুরের ‘আপন দেশে’

উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে অতি দ্রুততার সঙ্গে জলের নেমে আসা যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি৷

ShivanasamudraFalls
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 22, 2016 9:48 pm
  • Updated:June 12, 2018 4:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ইতিহাস বলে, এই দেশ নাকি দেবতার পদস্পর্শ পেয়েছে৷ তাই এমন প্রাকৃতিক বৈচিত্র এবং নানাবিধ সৌন্দর্যের সমাবেশের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই দেশ৷ নদ-নদী-পাহাড়-পর্বত-জলপ্রপাত-মরুভূমির সমাহারে বিচিত্র এই দেশ যেন রূপময়ী৷ গোটা দেশটাই যেন নিজের রূপকে উজাড় করে দিয়েছে৷ চোখ ভরে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য৷ যেন অপেক্ষা করছে কোনও ভ্রমণবিলাসীর, যিনি তাড়িয়ে উপভোগ করবেন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য৷

ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই, পাহাড়-পর্বত-নদী-সমুদ্রই প্রাথমিকভাবে মনে মনে আম জনতার৷ এই ভীষণ পছন্দের স্থানগুলি বাদ দিয়ে কিছু মানুষের মন কাড়ে জঙ্গল এবং জলপ্রপাত৷ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে অতি দ্রুততার সঙ্গে জলের নেমে আসা যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি৷ বিদ্যুৎবেগে নেমে আসা জল যেন বিদ্যুৎবেগেই মন ভাল করে দেওয়ার বার্তা বয়ে নিয়ে আসে৷

Advertisement

30bg_bgsat_Shim_30_2392560f

এমনই এক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত জলপ্রপাত হল শিবনসমুদ্র জলপ্রপাত৷ বেঙ্গালুরু থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জলপ্রপাত কর্নাটকের মান্ড্যতে  অবস্থিত৷ কাবেরী নদীর তীরে অবস্থিত এই জলপ্রপাত যেন দেবাধিদেব মহাদেবের ‘আপন দেশ’৷ এই শিবনসমুদ্র কাবেরী নদীকে দুই ভাগে ভাগ করেছে৷ আর নদীর দুইভাগ যথাক্রমে গগনচুক্কি এবং ভারাচুক্কি নাম পরিচিত৷

গগনচুক্কি নিজের প্রবাহপথে বয়ে নিয়ে চলে ঘোড়ার লেজের মতো এক ধবধবে সাদা জলধারা৷ এটিই শিবনসমুদ্র জলপ্রপাত নাম পরিচিত৷ নদীর জলের এই ছলছল শব্দ এবং কোথাও গভীরতা এবং কোথাও স্বল্প গভীর এক নদীপ্রবাহ যেন প্রকৃতির বুকে থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করার ক্ষেত্রে আদর্শ৷

004

টেলিফোন, ইন্টারনেট এবং যেকোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে দূরে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আসার জন্য শিবনসমুদ্র জলপ্রপাতের কোনও অন্যথা যেন নেই৷

এতেই যদিও থেমে নেই এই জলপ্রপাতের কাহিনী৷ এশিয়ার প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে এই শিবনসমুদ্র জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করে৷

কী করে পৌঁছবেন শিব ঠাকুরের দেশে?

বিমান পথে যদি এই জলপ্রপাত দেখতে যেতে চান, তবে বিমানে বেঙ্গালুরু অবধি পৌঁছতে হবে৷ তারপর বাসে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে জলপ্রপাতের দোরগোড়ায়৷

আর একইভাবে ট্রেনকে যদি সফরসঙ্গী বেছে নেন, তবে ট্রেনে করেই পৌঁছে যেতে হবে বেঙ্গালুরু৷ আর তারপর বাস কিংবা গাড়ি করে চটপট সাদা মেঘের মতো জলধারার দেশে পৌঁছে যাওয়াই যায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement