সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের বেলার বড্ড তাড়া। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই চলে আসে সূর্য ডোবার পালা। ‘সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো…’, যাযাবর মন থোড়াই ডরাই। তার জন্য তো সাতকোশিয়া রয়েইছে। প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। পাহাড়, অরণ্যে ঘেরা একটুকরো শান্তির নিবাস। শীতের এই ফুরফুরে- মেজাজে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা।
প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃতি সাতকোশিয়া অভয়ারণ্য। আছে মহানদী। জনশ্রুতি, মহানদীর দুপাশে সাত ক্রোশের পূর্বঘাট পাহাড়ের জন্যই সাতকোশিয়া নামটি। বাঘ, হরিণ, হাতি, বাইসন, লেপার্ডের দেখা পেয়েই যেতে পারেন। আবার রোদপোহানো কুমিরও দেখতে পাবেন। রয়েছে দোনঝোড়ার মতো সুন্দর জলপ্রপাত।
থাকার জন্য একাধিক জায়গা রয়েছে। তবে প্রকৃতির মাঝে কটা দিনের নিশ্চিন্তের ঠিকানা হতে পারে ন্যাচারস্টে হাতিবাড়ি ফরেস্ট ফার্ম (Naturestay Hatibari Forest Farm)। এখানে থাকলে শুরুটা বালিপুট গেট থেকে করতে পারেন। তারপর মহানদীতে বোটিংয়ের আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করবেন। দেখতে পাবেন গিরিখাতের সৌন্দর্য। এদিনই শিশুপাথর, বুধাদেই ড্যাম, পাগলাপিঠা দেখে নিতে পারেন।
দ্বিতীয় দিনে টি-ব্রিজ, ভাত্তারিকা মন্দির, চম্পানাথ মন্দির দর্শন করে দেখে ফেলুন দেওঝার, দাবরাখৌল জলপ্রপাত। তৃতীয় দিনের জন্য রাখুন ফতেগড় রাম মন্দির, কান্তিলো নীলামাধব মন্দির। তাছাড়া ফার্মহাউসের ২৩ একর জায়গা আর তাতে অসংখ্য গাছগাছালি, পুকর, পাখিদের কলকাকলি তো রয়েইছে। সমস্ত খাওয়া খরচ ধরে প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্কদের মাথাপিছু খরচ ১৫০০ টাকা। পাঁচ বছরের বেশি শিশুদের জন্য দিতে হবে ৭৫০ টাকা।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে গেলে কটক বা অঙ্গুল স্টেশন হয়ে যেতে হবে। আর কলকাতা থেকে যদি গাড়িতে যেতে চান তাহলে NH16 ধরে বালাসোর, ভদ্রক হয়ে কটকের ১৩ কিমি আগে মঙ্গলু চক থেকে NH55 ধরে অঙ্গুল। সেখানে গিয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন। কলকাতা থেকে নরসিংহপুরে এসি স্লিপার বাসও ছাড়ে। তা আবার ফার্মহাউস থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.