Advertisement
Advertisement

নয়া দ্রষ্টব্য নিয়ে তৈরি রাজস্থান, আপনি আসছেন কবে?

রাজস্থান এবার বিস্মৃতি আর অনাদর থেকে তুলে আনল নতুন চারটি দ্রষ্টব্য।

Rajasthan Tourism invites you to visit these offbeat monuments
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 19, 2016 3:00 pm
  • Updated:February 28, 2019 4:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাধারো মারে দেশ!
রাজস্থানের এই আবেদন এখন সেজে উঠেছে নতুন রূপে। রঙ্গ রঙ্গিলো মরুশহর আলতো করে সরিয়ে দিয়েছে বিস্মৃতির ঘুংঘট। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নয়া রূপটানে সেজে ওঠা হাভেলিরা। হাতছানি দিয়ে ডাকছে ইতিহাসের গলি।
এই ডাক অবশ্য বরাবরই দিয়ে এসেছে রাজস্থান। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ফি বছরেই হাজির হন ১.৫ মিলিয়ন বিদেশি এবং ৩৩ মিলিয়ন দেশি পর্যটক।
এত সমাদরেও কি মন ভরছে না রাজস্থানের?
প্রাথমিক ভাবে তাই মনে হবে। কিন্তু, সেটা বাহ্য কারণ। আসল কারণ, ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার। সেই লক্ষ্যে হালফিলে এগিয়ে চলেছেন বসুন্ধরা রাজে। মূলত তাঁর উদ্যোগেই রাজস্থান এবার বিস্মৃতি আর অনাদর থেকে তুলে আনল নতুন চারটি দ্রষ্টব্য।
সেগুলো কী আর কী ভাবে ঘুরে দেখবেন, জেনে নিন এক এক করে।

ঝলাওয়ার কেল্লা:

Advertisement

jhalawar
রুক্ষ সোনালি বালুকাবেলায় ঝলাওয়ারের গাগরোঁ কেল্লা সব দিক থেকেই তাপবারণ তৃষ্ণাহরণ। রাজস্থানের দক্ষিণ অংশের ঝলাওয়ারে অবস্থিত এই কেল্লাকে চার দিক থেকে ঘিরে রেখেছে সুনীল জলরাশি। রুক্ষতা আর কমনীয়তার সমণ্বয়ে ঝলাওয়ারের এই রূপ মুগ্ধ করার মতো।
সেই রূপের জন্যই বার বার দেশি এবং বিদেশি শাসকদের হাতবদলের শিকার হয়েছে ঝলাওয়ার। ইতিহাস বলে, শুধু চিতোরের পদ্মিনীই নন, এই ঝলাওয়ারের দিকেও ছিল আলাউদ্দিন খিলজির নজর। খিলজি অবশ্য ঝলাওয়ারের একটা ইটও নাড়াতে পারেননি। তবে, পর্যায়ক্রমে অনেক রাজপুত-বংশের শাসনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এই কেল্লা।
সেই সব ইতিহাস আর লোকগাথা আপনাকে শোনাবে কেল্লার চারপাশের জলরাশি ছুঁয়ে আসা হাওয়া। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আপনার জন্য গান বাঁধবে ঝলাওয়ার।
আপনি শুনতে আসছেন তো?
কী ভাবে যাবেন: প্রথমে পৌঁছে যান ঝলাওয়ারে। সেখান থেকে গাগরোঁ কেল্লার দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। একটা অটোরিকশা বা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসুন গাগরোঁ কেল্লা।

বালা কেল্লা:


রাজস্থানের সব চেয়ে পুরনো কেল্লাগুলোর মধ্যে অনায়াসে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে আলওয়ারের বালা কেল্লা। শোনা যায়, জাহাঙ্গির না কি তাঁর ছোটবেলা কাটিয়েছিলেন এই বালা কেল্লায়। যে অংশে তিনি থাকতেন, সেই অংশ আজও সেলিম মহল নামে পরিচিত। এ ছাড়া জাহাঙ্গিরের নাম অনুসারে কেল্লার মধ্যে সেলিম সাগর নামে এক হ্রদও রয়েছে।
তবে, শুধুই জাহাঙ্গিরের নির্বাসনের জন্য নয়। রাণা প্রতাপের সঙ্গেও নাম জড়িয়ে আছে এই বালা কেল্লার। ৩০০ ফুট চড়াই ভেঙে এই কেল্লায় যখন পৌঁছবেন, ইতিহাস আর সৌন্দর্য আপনাকে গ্রাস করবে।
কী ভাবে যাবেন: রাজস্থানে পৌঁছে ডেরা ফেলুন আলাওয়ারে। তার পর পায়ে পায়ে ঘুরে নিন বালা কেল্লা এবং আলাওয়ারের অন্য দ্রষ্টব্য।

নাহারগড় কেল্লা:


১৭৩৪ থেকে ১৮৬৮- এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে নাহারগড়ের কেল্লা। সেই ইতিহাস ছুঁয়ে আসুন। মন দিয়ে শুনুন রাজকুমার নাহার সিং-এর কথা। অকালে মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মা মাতৃভূমির মায়া কাটাতে পারেনি। তাই অভিশপ্ত সেই আত্মা দুর্গের উন্নয়নে বাধা দিয়েই চলেছিল। দিনের বেলা যেটুকু গড়ে তোলা হত, তা ভেঙে পড়ত রাতের বেলায়। অবশেষে কেল্লার নাম তাঁর নামে রাখা হবে, এই শর্ত মেনে নিলে নাহার সিংয়ের আত্মা কেল্লা ছেড়ে চলে যান। ভয় পাবেন না এই গল্প জেনে। বরং, একটু সময় বের করে ঘুরে আসুন। ফিরবেন যখন, আপনার বুকের মধ্যে থেকে যাবে এক টুকরো সোনালি বালুকাবেলা।
কী ভাবে যাবেন: নাহারগড়ে গিয়ে পছন্দসই একটা হোটেল বেছে নিন। তার পর সাইকেল রিকশা নিয়ে রওনা দিন গন্তব্যের দিকে।

আকবর কা কিলা:

akbarfort
আজমের আজও ধরে রেখেছে আকবরের স্মৃতি। সযত্নে রক্ষা করে চলেছে আকবরের কেল্লা।
তবে একটা কথা না বললেই নয়- আকবরের নাম শুনেই বিশাল কিছু কল্পনা করে নেবেন না। আকবর কা কিলা আদতে খুবই ছোট এক প্রাসাদ। সম্ভবত এটাই রাজস্থানের সব চেয়ে ছোট প্রাসাদ। বর্তমানে এটি পরিণত হয়েছে এক মিউজিয়ামে।
তাতে যদিও ক্ষতি কিছু নেই। বরং, আকবরের মহলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবেন রাজপুত এবং মুঘল ঐতিহ্যের বেশ কিছু নিদর্শন। এই যুগলবন্দী না দেখলে ভারতের অসাম্প্রদায়িক মনটি থেকে যাবে আপনার ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই।
কী ভাবে যাবেন: আজমের থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিন আকবর কা কিলা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement