Advertisement
Advertisement

Breaking News

টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা ধরে রাখতে রেলের গড়িমসি, ক্ষুব্ধ পর্যটন মহল

শুরু এনজেপি-দার্জিলিং পরিষেবা৷

Railways mull step to retain heritage status of toy train
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 7, 2018 6:18 pm
  • Updated:October 7, 2018 6:18 pm

সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: টয়ট্রেন নিয়ে বারবার গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ উত্তরের পর্যটন মহল। কথা দিয়েও কথা রাখতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এর হেরিটেজ তকমা ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তার কোনওটাই রেল কর্তৃপক্ষ করে উঠতে পারছে না, বা সদিচ্ছাটাই নেই। ফলে দার্জিলিং ব্র্যান্ডের সমস্তটাই মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ শুধুমাত্র টয়ট্রেনকে ভিত্তি করেই ব্র্যান্ড দার্জিলিংকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত বলে দাবি। সে সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্যের যোগাযোগের অভাবে বিষয়টি দানা বাঁধছে না।

[বাজি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, জখম অন্তত সাত]

এবিষয়ে অবশ্য কোনওরকম বিতর্কে ঢুকতে চাইছেন না পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেছেন, ‘‘গোটাটাই রেলের ব্যাপার। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর কারও হাত নেই। তবে টয়ট্রেনকে অবশ্যই সবসময় অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা উচিত।” সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ফের শিলিগুড়ির এনেজপি স্টেশন থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পরিষেবা শুরু টয়ট্রেনের। তবে স্থানীয়দের মতে, এই  যাতায়াত কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে অধিকর্তা এমকে নার্জারি জানিয়েছেন, টয়ট্রেন আপাতত বিপদমুক্ত। কিন্তু বিপদ কতটা কেটেছে, তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। দার্জিলিংয়ের স্টেশন ম্যানেজার সুমন প্রধান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু হলেও এখনও পূর্ণযাত্রী মিলছে না। তবে দু’একদিনের মধ্যেই যাত্রী মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

[কোলিয়াড়িতে দুর্ঘটনা, চাঙড় ভেঙে ২ ইসিএল কর্মীর মৃত্যু]

Advertisement

উত্তরের পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যালের দাবি, শুধুমাত্র টয়ট্রেনকে কেন্দ্র করে সিমলা, পর্যটনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। দার্জিলিংকেও ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য সদিচ্ছা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। যা দেখা মেলে না। ধস নেমে বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে টয় ট্রেনের পরিষেবা। রাস্তা সারিয়ে লাইন মেরামত করতে দেড় মাস সময় লাগবে কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার অভিযোগ, যেখানে টয়ট্রেন দেখতেই দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে আসেন। সেখানে কেন আপৎকালীন ব্যবস্থা নিয়ে রেল চলাচল সারিয়ে তোলা হবে না! পাশাপাশি বেতন সংক্রান্ত কারণে জয় রাইড বাতিল হওয়াটাও এক ধরণের গাফিলতি বলে মনে করেন অপর এক পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু। তিনি নিজেই টয়ট্রেন রক্ষা কমিটিতে রয়েছেন। তিনি টয়ট্রেনকে আরও স্পর্শকাতরভাবে বিচার করা দরকার বলে দাবি করেন। এই মুহূর্তে দিনে একটিই ট্রেন সকালে এনজেপি থেকে দার্জিলিং যাচ্ছে। আবার ওই ট্রেনটিই ফিরে আসছে বিকেলে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ