ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পলাশের দেশে। একেবারে মন হারানোর ঠিকানায়। আক্ষরিক অর্থেই ‘পিঁদাড়ে পলাশের বন।’ তাই মনও উড়ু উড়ু। পালাব, পালাব। দোল-হোলির ছুটিতে পলাশ বনে হারিয়ে যেতে একেবারে নিশ্চিন্ত ঠিকানা পুরুলিয়া (Purulia)।
রাঙা পলাশে (Palash) একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে এই বনমহল। জঙ্গলের পর জঙ্গলজুড়ে শুধুই লাল পলাশের আভা। অযোধ্যা পাহাড় (Ayodhya Hill) থেকে বড়ন্তি। দুয়ারসিনি থেকে দোলাডাঙা। গড়পঞ্চকোট থেকে জয়চন্ডী পাহাড়। সর্বত্র লালে লাল।
তবে লাল পলাশ ছাড়াও পুরুলিয়াতে এবার বাসন্তী পলাশের দেখা মিলেছে। দেখা মিলেছে বিরল শ্বেত পলাশের। আর এই তিনরঙা পলাশ দেখতে এখন থেকেই দোল-হোলির (Holi 2023) আগে পর্যটকদের ঠাসা ভিড়। দোল-হোলিতে যে পুরুলিয়া হাউসফুল। হোটেল, লজ, সরকারি অতিথি আবাস, কটেজ, রিসোর্ট কোথাও কোনও খালি নেই। আসলে বোলপুরে বসন্ত উৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা এখন পলাশের দেশে পুরুলিয়ামুখী। ফলে পুরুলিয়া জুড়ে চলছে বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি। বাহা পরবের তোড়জোড়। আসলে এই বসন্তে সুন্দরী পুরুলিয়া আরও অনন্যা।
একদিকে পলাশ। সেই সঙ্গে ঝরা পাতার মরশুম। অন্যদিকে কুসুমের লাল কচি কচি পাতা আর মহুয়ার মাতাল করা গন্ধ। সবে মিলিয়ে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় পুরুলিয়া ডাকছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার (SP) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পলাশে এখন রঙিন পুরুলিয়া। দোল-হোলি পর্যন্ত এই পলাশকে ধরে রাখতে আমাদের সচেতনতার প্রচার চলছে বিভিন্ন ভাবে। কোনভাবেই যাতে পলাশ ফুল কেউ না তোলেন। ডাল না ভাঙেন। এই সময় এই জেলায় শুধুমাত্র পলাশ দেখতেই বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন। এই কথা মাথায় রেখেই জেলা জুড়ে যে এলাকায় ঘন পলাশের জঙ্গল রয়েছে সেখানে আমরা নতুন করে আরও ১২ টা পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খুলেছি। যাতে পর্যটকদের সুবিধা হয়।”
দোল-হোলিকে ঘিরে বিভিন্ন কটেজ, রিসোর্টে নানান প্যাকেজও দেওয়া হচ্ছে। ওই প্যাকেজের মধ্যে বসন্ত উৎসব বা বাহা পরব দেখিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। মিলবে নানা লোকনৃত্য দেখার স্বাদ। ঝুমুর, বাউল তো রয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.