সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: কেন্দ্রস্থলে থাকবে বাগডোগরা বিমানবন্দর। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশকে নিয়ে বৃহত্তর পর্যটন সার্কিট গড়ার উদ্যোগ নিলেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। নেপথ্যে ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটক ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞদের আশা, এই অভিনব পর্যটক সার্কিট তৈরিতে সহযোগিতা করবে দুই দেশের সরকার। আগামী ২৬ জুলাই থেকে বাংলাদেশের ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু হবে। সেই মেলায় এই উদ্যোগ দিনের আলো দেখতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্রেফ পরিকল্পনা করাই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশকে নিয়ে বৃহত্তর পর্যটন সার্কিট গড়ার লক্ষ্যে মউ স্বাক্ষরও সেরে ফেলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এ দেশের বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে পর্যটন সার্কিটের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদেশের তরফে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (এইচএইচটিডিএন)-এর তরফে সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, ‘পর্যটনকে যত বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে, ততই কর্মসংস্থান এবং সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। তাই শুধু ভারত এবং বাংলাদেশ নয় লাগোয়া নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স ও ইন্দোনেশিয়াকেও এই নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ আর ট্যুর অপারেটরস অব বাংলাদেশ (টিওএব) এর তরফে সভাপতি ইফতিকার আলম ভুঁইয়ার বক্তব্য, ‘ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন।‘এক্সটেন্ডেড ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক’ তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হবে।’
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পর্যটন সার্কিট বা করিডর তৈরির উদ্যোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের এবং বাংলাদেশের পর্যটন সার্কিট এর মধ্যে একটি আদান প্রদান মূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে মাত্র শুক্রবারই। তারপর আরও বড় আকারের এই উদ্যোগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনকে অন্য মাত্রা এনে দিতে পারে বলে আশা করছেন সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.