সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালো-সাদার চক্করে ট্যাকের হাল বেহাল। সুপর্ণাদের আর প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই, শীতকাল এসে গিয়েছে। যাযাবর মন যতই না মানুক, ভাঁড়ার যে শূন্য মানুষকে মেনে নিতেই হচ্ছে। তাই বলে কি আপনি ঘরে বসে থাকবেন? না, কখনই না! ব্যাক্স-প্যাঁটরা বেঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন এই সস্তা অথচ সুন্দর স্থানগুলিতে।
বারাণসী- আধ্যাত্ম ও ঐতিহ্যের আদর্শ সংমিশ্রণ ভারতের এই স্থান। ‘গঙ্গা মাইয়া’র তীরে থাকা একেবারেই ব্যায়বহুল নয়। খাবার সুবিধাও ভরপুর। চারদিকে মন্দিরের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থ্যাপত্যের অসামান্য নিদর্শন। আর রাতে গঙ্গা আরতির আবহ তো রয়েছেই।
ম্যাকলিয়ড গঞ্জ – ধরমশালা থেকে প্রথমে ট্রেন, তারপর বাসে করে পৌঁছন যায় ধরমশালার এই ছোট্ট গ্রামে। পাহাড়ে ঘেরা ছিমছাম এই জনপদে রয়েছে পাইন, ওক, দেবদারুর অপূর্ব সম্ভার। তিব্বতি সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে এই গ্রামে। থাকার ও খাবার স্থান খুবই সস্তায় মেলে। চাইলে হোম স্টে’র সুবিধাও পেতে পারেন।
গোকর্ণ – নীল নির্জনের এই সৈকত ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদেরও সমান পছন্দ। শান্তির এই পীঠস্থানে এখনও খুব বেশি মানুষ ভিড় জমান না। তাই থাকা-খাবারের মূল্যের চিন্তা তেমন একটা করতে হয় না পর্যটকদের।
দার্জিলিং – ছাদের ধারের সেই রেলিংটা কম-বেশি সব বাঙালিরই প্রিয়। থাকা-খাওয়াও এমন কিছু মহার্ঘ নয়। তাই বাঙালির সস্তায় বেড়াতে যাওয়ার বাই উঠলেই দার্জিলিংয়ের দিকেই পাড়ি দেয়।
উদয়পুর – রাজস্থান মানেই রাজরাজাদের সাতমহলা বাড়ি আর একগুচ্ছ প্রাচীন মন্দির। যার প্রবেশ মূল্য দিতে দিতেই পর্যটকদের পকেট শূন্য হয়ে যায়। তবে ব্যতিক্রম উদয়পুর। পিচোলা লেককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই শহরে পকেটের কথা না ভেবে নিশ্চিন্তে এখানে পরবাস করতে পারেন পর্যটকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.