Advertisement
Advertisement
Taki

করোনা আতঙ্কের মাঝেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ, নতুন বছরে শুনশান টাকি

বর্যবরণের রাতে টাকি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক গৃহবধূ।

No tourist in Taki picnic spot | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 4, 2022 4:39 pm
  • Updated:January 4, 2022 5:08 pm  

গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: করোনা পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্যের পর্যটন। বছর শেষে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ছিল টাকি, মিনাখাঁ, সুন্দরবন এলাকা। কিন্তু নতুন বছর হতেই সব ভো-কাট্টা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের অভিযোগ, শুধুমাত্র করোনা আতঙ্ক নয়, নিরাপত্তাহীনতার কারণেও পর্যটক কমছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে গণধর্ষণের অভিযোগও। পর্যটকেরা পারতপক্ষে সামশেরনগর বা সুন্দরবন লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা একাধিক পর্যটনকেন্দ্রমুখো হচ্ছেন না।

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুন্দরবনের নামডাক বিশ্বজোড়া। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা প্রতিবছরই ভিড় জমান সেখানে। সুন্দরবনের পাশাপাশি ইছামতির কোল ঘেঁষে টাকি, মিনি সুন্দরবনের মতো একাধিক পার্ক-পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বসিরহাটে। যা একদিনের পর্যটনের জন্য ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। আর কম সময়ে কলকাতা থেকে সড়কপথে সুন্দরবনে পৌঁছানো যায় মিনাখাঁ হয়েই। তাই সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে মিনাখাঁ পর্যটকদের কাছে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। অনেক পর্যটক মিনাখাঁর বিভিন্ন গেস্ট হাউসেও রাত কাটিয়ে সুন্দরবনে যান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপে লোকাল ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর, উত্তেজনা ডানকুনিতে]

এই পর্যটন কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে রয়েছে এক শ্রেণির মানুষে রুটিরুজি। জীবনধারণের জন্য গড়ে তুলেছেন ছোটখাটো ব্যবসা। অথচ এই এলাকাতেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে একশ্রেণির দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে পর্যটকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগও রয়েছে। ঠিক গত শনিবার যেমনটা হয়েছিল টাকিতে। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঘটকপুকুর এলাকা থেকে টাকিতে পিকনিক করতে এসেছিলেন পর্যটকের একটি টিম। মিনাখাঁ থেকে সেখানে পিকনিকে গিয়েছিল আরও একদল যুবকও। সেখানেই অল্পবিস্তর ঝামেলা হয়। পরে মিটেও যায়। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ ঘটকপুকুরে ফেরার সময় ফের বাঁধে বচসা। যার জেরেই কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের (রাজ‍্য সড়ক ৩এ) উপর গাড়ি আটকে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মতো ঘটনার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটনকেন্দ্রে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টাকি-সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশি নিরাপত্তা বসানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও টাকি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। দক্ষিণ কলকাতা থেকে পরিবার নিয়ে টাকিতে আসা এক পর্যটক পরিবারের কথায়, “ঘটনার কথা শুনেছি। খুব বাজে ব্যাপার। বেড়াতে এসে যদি গণধর্ষণের মতো এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে তাহলে তার থেকে আর বাজে কী হতে পারে!” তাঁদের আরও দাবি, দু’ দিন টাকিতে এসে সেরকম পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়েনি। নিজেদের সেফটির জন্য উচিত, দিনের আলোয় ঘরে ফেরা।”

[আরও পড়ুন: ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নাড্ডা, ‘বিদ্রোহী’ শান্তনু ঠাকুরকে ফোন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির]

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, “সম্প্রতি মিনাখাঁয় বেড়ে চলেছে দুষ্কৃতীরাজ। তারা কখনও মেছো ভেড়ি বা ইটভাটা থেকে তোলা আদায় করে। আবার কখনও পর্যটকদের থেকেও চলে তোলাবাজি।” ঘটনা প্রসঙ্গে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জাবি থমাস কে ও এসডিপিও নির্মল ঘোষ জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতে এমন ঘটনা দ্বিতীয় বার না হয়, তার জন্য ঘটনার পর থেকে প্রত্যেকটি থানাকে এনিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের যে আরটি গাড়ি রয়েছে তাদের টহল বাড়াতে বলা হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement