সৌরভ মাজি, বর্ধমান: যত দিন যাচ্ছে, বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্য যেন ততই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। আট থেকে আশি সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই অভয়ারণ্যের নতুন কয়েকটি চিতাবাঘ। রোজই চিতাবাঘ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। তার সঙ্গে রয়েছে কতগুলি কুমির, আরও কয়েকটি পশুপাখি। এখানেই শেষ নয়, এই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এবার রমনাবাগান অভয়ারণ্যে হায়না ও নেকড়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। আনা হবে আরও ৫টি কুমির। ইতিমধ্যেই নেকড়ে ও হায়নার জন্য এনক্লোজার তৈরির কাজ চলছে। কুমিরের জলাশয়টিকেও সংস্কার করা হয়েছে। একেবারে নয়া রূপে সেজে উঠেছে রমনাবাগান অভয়ারণ্য।
বছর তিনেক আগেই রমনাবাগান অভয়ারণ্যের আকর্ষণ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বনদপ্তর। জু অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সহায়তায় কাজ শুরু হয়। নতুন করে এনক্লোজার তৈরি হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে চিতাবাঘ-সহ নানা পশু-পাখি এখানে আনা হয়েছে। নতুনভাবে সেজে ওঠার পর থেকেই মূলত চিতাবাঘ ও কুমির দেখতেই দর্শকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ দর্শক আসেন এই অভয়ারণ্যে। ফলে ভাল আয়ও হচ্ছে। ছুটির দিনগুলিতে ভিড় আরও বেশি হচ্ছে। সৌজন্যে কালী ও ধ্রুব। এরা আসলে দুটি চিতাবাঘ। এরা আসার পর থেকেই দর্শকদের বিশেষ করে কচিকাঁচাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে রমনাবাগান অভয়ারণ্য।
বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নেকড়ে ও হায়না এসে গেলে চিড়িয়াখানার আকর্ষণ আরও বাড়বে। চেষ্টা চলছে আগামী মার্চের মধ্যেই সেগুলিকে নিয়ে আসার। এনক্লোজার দু’টি গড়ার কাজও জোরকদমে চলছে। শহরের গোলাপবাগের পাশেই রয়েছে এই রমনাবাগান। বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ। অনেক গাছ বহু প্রাচীন। সঠিক বয়সও জানা নেই অনেকের। বনদপ্তর এই সব গাছের সার্ভে করানোরও পরিকল্পনা নিয়েছে। গাছের বয়স, প্রজাতি-সহ বিভিন্ন তথ্য নথিভুক্ত করিয়ে রাখতে চাইছে। যাতে রমনাবাগানে আসা দর্শকরা গাছহগাছালি সম্পর্কেও বিশদে জানতে পারেন। চিড়িয়াখানার ভিতরে ইতিমধ্যে একটি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পশুপাখিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। মূলত প্রকৃতির সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচিতি ঘটাতে এই প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.