Advertisement
Advertisement
বাস পরিষেবা

এবার খুব সহজেই পাড়ি জমানো যাবে বাংলাদেশে, জানেন কীভাবে?

ভ্রমণপিপাসু হলে এই প্রতিবেদন অবশ্যই পড়ুন৷

New bus service may be starts on May from Siliguri to Bangladesh
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 15, 2019 9:25 pm
  • Updated:May 15, 2019 9:25 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: মে মাসেই শুরু হচ্ছে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা দিয়ে ঢাকা-শিলিগুড়ি বাস পরিবহণ। এর আগে পণ্য পরিবহণ দীর্ঘদিন ধরে চালু ছিল ঠিকই৷ তবে এতদিন এই সীমান্ত দিয়ে কোনওরকম যাত্রী পরিবহণ হত না। ফলে শিলিগুড়ির আন্তর্জাতিক গুরুত্ব একলাফে অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও এশিয়ান হাইওয়ে পুরোদস্তুর চালু হয়ে গেলে শিলিগুড়িকে মাঝখানে রেখে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের৷

[ আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সিকিমের এই দুই শৈলশহরে]

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের তরফে দুই বাংলার মধ্যে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল৷ কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। এটি খুলে গেলে গোটা এলাকার চালচিত্র বদলে যাবে।’’ আগামী ২৬ মে থেকে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা প্রতিদিন শিলিগুড়ি ও ঢাকা থেকে একটি করে বাস ছাড়বে। ২৮ আসন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত ওই বাসের ভাড়া রাখা হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় দু’হাজার টাকা। যা ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকার মতো। আপাতত অবশ্য সীমান্তে বাস বদলে যেতে হবে যাত্রীদের। শিলিগুড়ি থেকে যেমন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হলে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে বাসে চাপতে হবে। ফুলবাড়ি সীমান্তে অভিবাসন দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে হেঁটে ওপারে গিয়ে ফের সংস্থার একইরকম অন্য বাসে চেপে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। বাংলাদেশের তরফেও একই রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। যেহেতু এশিয়ান হাইওয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি, তাই বাংলাদেশ থেকে নেপাল সরাসরি যাওয়া যাচ্ছে না। তবে দ্রুত সেটিও চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ভিড় থেকে দূরে সময় কাটাতে চান? ঘুরে আসতে পারেন মৈরাংয়ে]

পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ওপার বাংলার যোগাযোগ তৈরি হবে।’’ তিনি মনে করেন, ওপার বাংলায় বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে কলকাতা যাওয়ার চেয়ে শিলিগুড়ি আসা অনেক সহজ৷ ফলে এই পরিবহণ ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হবে। যাঁরা চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে শিলিগুড়ি আসতেন তাঁদের অতটা ঘুরে আসতে হবে না। একইরকম মনোভাব পোষণ করছেন নেপাল-ভুটান-ভারতের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত রাজ বসু। তিনি মনে করেন, এই রুটের একটা হেরিটেজ চেহারা আছে। দেশভাগের আগে শিলিগুড়ি-সহ গোটাটাই রংপুর জেলায় ছিল। ফলে অনেক বেশি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন তাঁরা। এছাড়া শিলিগুড়ির প্রচুর মানুষের শিকড় ওপার বাংলায় ছিল। কলকাতা হয়ে ঘুরে যাওয়ার চেয়ে সহজে যোগাযোগ যাতায়াত বৃদ্ধি করবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দু’দেশই আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement