টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বর্ষশেষে হিমশীতল বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে পর্যটকের ঢল নেমেছে। আনন্দে আত্মহারা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।বড়দিন থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। সারাদিন ঝলমলে রোদ থাকলেও বিকেল থেকেই পারদ নামছে। সেই সঙ্গে বাতাসে হিমেল হাওয়া হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। জেলারই মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে দিন কয়েক আগেই মেলা শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য মুকুটমনিপুরে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘ট্রাইবাল ফুড ফেস্টিভ্যাল’। পর্যটকদের জন্য তাঁবুতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছে মুকুটমণিপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কংসাবতী ও কুমারী নদীর সঙ্গমে রোমাঞ্চকর পরিবেশে তাঁবু পড়েছে।
কলকাতা থেকে আসা পর্যটক দলের সদস্য এন্টালির বাসিন্দা রাহুল বৈদ্য বলছেন, একটু ব্যতিক্রমী চেষ্টা। গভীর রাতে টিলার উপর তাঁবুতে থাকলে পাশে হাড় চিবানোর শব্দ কানে আসামাত্রই শরীরটা কেমন শিউরে ওঠে। কিন্তু, মুকুটমণিপুর তাঁবুতে রাত্রিবাস নিয়ে পর্যটকদের কৌতুহলেরও শেষ নেই। আসানসোল থেকে আসা শর্মিষ্ঠা সরকার বলেন, কংসাবতী এবং কুমারীর সঙ্গমে তাঁবুতে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাই আলাদা। রাতের অন্ধকারে ভূতের গল্প শুনতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই সেই অন্ধকারে একটি ছায়া দেখলে গা ছমছমও করে। সোনাঝুরির প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্রের কাছে, পঞ্চায়েত সমিতির মালঞ্চ হোটেলের পিছনে এবং চিলড্রেন পার্ক-সহ মুকুটমণিপুরে তিন জায়গায় ২০ টি তাঁবু বসানো হয়েছে। খাতড়ার মহকুমা শাসক তথা মুকুটমণিপুর ডেভলপমেন্ট অথারিটির সদস্য রাজু মিশ্র বলেন, মুকুটমণিপুরে কংসাবতী এবং কুমারীর সঙ্গমে তাঁবুতে রাত কাটানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না পর্যটকরা।এমনকী, ভূত-প্রেত কিংবা অশরীরী নিয়ে তাঁর নিজেরও যে কৌতুহল কম নয়, সেকথাও স্বীকার করেছেন খাতড়ার মহকুমাশাসক।
ছবি: পরেশ মাইতি
[নতুন বছরে শহরের কাছাকাছি পিকনিকের সেরা ১০ ঠিকানা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.