Advertisement
Advertisement

উৎসবের মরশুমে ১৬ দিনেই সুপারহিট ‘ভোরের আলো’

হতাশ বহু পর্যটক৷

N Bengal tourist hub registers record patrons
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 29, 2018 8:32 pm
  • Updated:October 29, 2018 8:32 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: চতুর্থীতে উত্তরবঙ্গে খুলে গিয়েছিল ‘ভোরের আলো’-র দরজা৷ মাত্র ১৬দিনেই সুপারহিট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প৷ নয়া টুরিজম হাবে বুকিং হাউসফুল৷ উৎসবের মরশুমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য নয়া ট্যুরিজম হাব বুক করতে গিয়ে হতাশ হচ্ছেন অনেকেই৷

[নয়া আকর্ষণ উত্তরবঙ্গে, আলিপুরদুয়ারে চালু ক্যারাভান পরিষেবা]

৩ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বপ্নের এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। শিলিগুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে ও জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় এই হাব, তাঁর নিজেরই আবিষ্কার। পাহাড় সফরে গিয়ে তাঁরই নাম দেওয়া ‘ভোরের আলো’-তে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটকদেরও আহ্বান জানান নয়া ট্যুরিজম হাবে আসার জন্য। দেশ-বিদেশের সঙ্গে স্থানীয়, সব ধরণের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বিনোদনের ভরপুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইকেলে জঙ্গল সাফারি থেকে শুরু করে বোটিং, র‌্যাফটিং, সাইট সিইং, পাখি দর্শন, কিংবা এখানে রাত্রিযাপন করে তরাই ডুয়ার্স এর গোটা পর্যটন সার্কিট ঘুরে ফেলার বন্দোবস্ত সবই থাকছে। সেই সঙ্গে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক পর্যন্ত আলাদা রুট তৈরি করা হচ্ছে সাফারিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। ১৩ অক্টোবর চতুর্থীতে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল ‘ভোরের আলো’। ১৬ দিনেই সুপারহিট নয়া ট্যুরিজম হাব। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাইটে গিয়ে সরাসরি বুকিং করেন পর্যটকরা৷ তার জেরেই হাউসফুল বোর্ড ঝুলল ‘ভোরের আলো’-য়। পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তী জানান, আপাতত যে চারটি ঘর এবং দু’টি তাঁবু খুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী এক মাসের বেশি আগাম বুকিং রয়েছে। আপাতত ২৯ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বুকিং বন্ধ রয়েছে। ৫ থেকে ফের বুকিং মিলবে থাকার জন্য। সব ক’টিই পুরোদস্তুর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সম্রাটবাবু জানান, ইতিমধ্যেই ভোরের আলোতে থাকার জন্য রাজ্য ও বাইরে থেকে প্রচুর খোঁজখবর করে ফোন আসছে। তবে আপাতত ঘরের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই বুকিং পাচ্ছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডেপুটি ডিরেক্টর। তবে ধীরে ধীরে নতুন হোটেল ও রিসর্টগুলি তৈরি হতে থাকলে তা খুলে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটেও তা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, অনলাইন বুকিং শুরু ‘ভোরের আলো’-র]

গোটা প্রকল্প যে একদিন উত্তর-পূর্ব ভারতের সেরা পর্যটন হাবে পরিণত হবে তা নিয়ে আশাবাদী রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “ আগামী এক বছরে প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে এলাকার চালচিত্র বদলে যাবে।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement