সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার গ্রাসে এখন প্রায় গোটা বিশ্ব। গুটিকয়েক দেশ ছাড়া পৃথিবীর সব দেশেই থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। চিনের পর এর ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে ইটালি ও স্পেন। ক্রমশ সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনা। ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশেই হু হু করে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এই মহাদেশের কোনও দেশই এখনও পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়নি শুধু মন্টিনেগ্রো ছাড়া। সম্প্রতি ইউরোপের এই দেশ নিজেকে করোনা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে।
করোনা মুক্ত ঘোষণা করার পরই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে মন্টেনেগ্রো সরকার। দেশের অভ্যন্তরে সমস্ত অফিস কাছারি খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে পরিবহন ব্যবস্থাও। দেশের অভ্যন্তরে মানুষের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেও নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকী দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মন্টেনেগ্রো। এই গ্রীষ্মে ইউরোপের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির চেয়ে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে কোমর বেঁধেছে মন্টিনেগ্রো। ক্রোয়েশিয়ার পাশে অবস্থিত এই দেশটি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি। এই বছরের পর্যটন মরশুম করোনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই মনে করছে সেই দেশের সরকার।
দু’ মাস আগে মন্টিনেগ্রোয় প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। তারপর থেকেই করোনা মোকাবিলার তোড়জোড় শুরু করে প্রশাসন। সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের অক্লান্ত চেষ্টায় করোনা এই দেশে প্রভাব বিস্তার করতে ততটা সক্ষম হয়নি যতটা ইউরোপের অন্য দেশগুলিতে এই ভাইরাস প্রভাবিত করেছে। দেশের মোট ৩২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। এই মারণ ভাইরাসের ফলে মৃত্যু ন’জনের। আর এখন তো গোটা দেশ করোনা মুক্ত। দেশটির পর্যটন সেক্রেটারি দামির ডেভিডোভিচ আসন্ন গ্রীষ্মের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আগের বছরের মতো এবছরও অত পর্যটক আসবে বলে আমরা আশা করি না। কিন্তু একেবারেও পর্যটক হবে না, তাও সম্ভবত হবে না। তবে আমি বিশ্বাস করি যে সম্প্রতি যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশ গিয়েছে, তার চেয়ে ভাল দিন আসতে চলেছে।” তবে মন্টিনেগ্রো পর্যটকদের প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক থাকবে। কেবলমাত্র সেইসব দেশের পর্যটকদেরই ভিসা দেওয়া হবে যেখানে ১ লক্ষ লোকের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.