সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের হিসেব করা বড় মুশকিল৷ সেই কবে মাহমুদ গজনী আক্রমণ করেছিলেন৷ অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছিলেন৷ তবু আজও মহাবিষুবের সময় সূর্ষের প্রথম কিরণ পড়ে মোধেরার সূর্য মন্দিরে খোদিত সূর্যবেদীর উপর৷ শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসের সম্ভার নিয়ে এভাবেই দাঁড়িয়ে রয়েছে গুজরাটের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দির৷ শুধু শ্রদ্ধা নয়, ইতিহাসের অনন্য কীর্তির সাক্ষী হতে প্রতি বছর এখানে আসেন হাজার হাজার পর্যটক৷
ইতিহাস –
স্কন্দ পূরাণ ও ব্রহ্ম পূরাণ অনুযায়ী এই মোধেরাই সেই ধর্মারণ্য৷ রাবণ বধের পর যেই স্থানে ব্রহ্ম হত্যার পাপমোচনের জন্য যজ্ঞ করেছিলেন৷
কী দেখবেন –
তিন ভাগে বিভক্ত সোলাঙ্কিবংশের রাজা প্রথম ভীমদেবের তৈরি এই মন্দির৷
১) গুঢা মন্ডপ – বিশাল হলঘর ও গর্ভগৃহ সম্বলিত এই মন্ডপের কারুকার্য দেখার মতো৷ উপরের ছাদটি গম্বুজাকৃতি৷ পাঠানদের আক্রমণের সময় এটিই সোলাঙ্কি রাজাদের প্রধান মন্ত্রণালয় ছিল৷ ভিতরে একটি লম্বা সুড়ঙ্গও রয়েছে৷
২) সভা মন্ডপ – মোট ৫২টি স্তম্ভ রয়েছে এই মন্ডপে৷ বছরের ৫২ সপ্তাহের জন্য নিবেদিত এই স্তম্ভগুলিতে খোদাই করা হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলার নানা গাথা৷
৩) রামকুণ্ড অথবা সূর্যকুণ্ড – মোধেরার প্রধান আকর্ষণ৷ আয়তকার এই জলাশয়ের চারদিকে রয়েছে কারুকার্যমন্ডিত সিড়ি৷ রয়েছে বিষ্ণু, গণেশ, শিব ও শীতলা দেবীর মন্দির৷ জলাশয়ের জলকে খুবই পবিত্র মনে করেন স্থানীয়রা৷
কীভাবে যাবেন –
কোথায় থাকবেন –
সাধারণত একদিনের জন্যই মোধেরায় যান পর্যটকরা৷ তাই তেমন হোটেল বা রিসর্টের ব্যবস্থা নেই এখানে৷ তবে আহমেদাবাদ ও মাহেসেনায় থাকার ব্যবস্থা রয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.