রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে দীর্ঘদিন ছিল লকডাউন। তবে বর্তমানে আনলক ওয়ানের পথে হাঁটছে দেশ। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র অনেকটাই শিথিল নিয়মকানুন। খুলেছে অফিস, ধর্মস্থানের দরজা। সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলতে চলেছে মন্দারমণির হোটেলের দরজাও। ১৫ জুন থেকে খুলছে তাজপুরের হোটেল। তবে এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি দিঘার (Digha) হোটেল কর্তৃপক্ষ। করোনার ধাক্কা সামাল দিয়ে পর্যটন শিল্প কী ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, হোটেল ব্যবসায়ীদের মনে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
মন্দারমণি পর্যটন কেন্দ্রে শনিবার হোটেলিয়ার্স সংগঠনের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার থেকেই হোটেল খোলা যাবে। পর্যটকদের প্রবেশপথেই থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। তাছাড়া পর্যটকের ব্যাগপত্র সবই স্যানিটাইজ করা হবে। হোটেল রুম সংখ্যা যা হবে তার অর্ধেক ভাড়া দেওয়া হবে। একজন পর্যটক চেক আউট করার পর সেই ঘরও স্যানিটাইজ করা হবে। সেই সময় অন্য ঘরে থাকতে দেওয়া হবে অন্য পর্যটককে। তাছাড়া হাতে গ্লাভস,মুখে মাস্ক অত্যাবশ্যক। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল ও কমিউনিটি হল। একইভাবে তাজপুরের হোটেলিয়ার্সের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৫ জুন থেকে সমস্ত হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে। আবার দিঘার ক্ষেত্রে একটু আলাদা। ১০ জুন ওল্ড দিঘার হোটেল সংগঠনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কবে থেকে হোটেল খোলা হবে।
তবে অনেক হোটেল ব্যবসায়ী জুন মাসটি অপেক্ষা করে তবেই হোটেল খুলতে চাইছেন। দিঘার হোটেল অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে হোটেল খোলার জন্যে। কিন্তু পর্যটক না এলে হোটেল খুলে কী হবে? মানুষ এখন এতটাই আতঙ্কিত যে পরিবার নিয়ে দিঘা বা অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসতে চাইবেন না।” তবে অনেক হোটেল মালিকের দাবি, পর্যটকেরা বেড়াতে আসার জন্যে এতটাই আগ্রহী যে সোমবার হোটেল খুলছে কি না তা জানতে ফোন করে চলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.