সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলপ্রপাত অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে মানুষ জলপ্রপাত দেখতে যায়। শুধু ঝরনা দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় না কেউ। তবে ব্যতিক্রম যে একেবারে নেই, তা নয়। যারা অফবিট জায়গা ভালবাসে, তারা জলের শব্দ শুনতে আর ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেরিয়ে যেতেই পারে। আর যারা নিঃসঙ্গভাবে ক’টাদিন কাটিয়ে আসতে চান, তারাও চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন এই প্রতিবেদনে।
ধুঁয়াধার জলপ্রপাত (জব্বলপুর)
এই জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য জল এখানে পাথরে পড়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। তাই এর নাম ধুঁয়াধার জলপ্রপাত। জব্বলপুরের অন্যতম আকর্ষণ এটি। এখানে পর্যটকরা গন্ডোলা রাইডও নিতে পারেন। এছাড়া নর্মদা নদীর উপর দিয়ে রোপওয়ের অ্যাডভেঞ্চারও উপভোগ করা যায়। এছাড়া এর আশপাশে ছড়িয়ে রয়েছে বারগি ড্যাম, রানি দুর্গাবতী মিউজিয়াম, কানহা জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি রয়েছে। এখানেও ঘুরে আসতে পারেন। এখানে যাওয়ার সবথেকে ভাল সময় হল আগস্ট থেকে নভেম্বর।
অথিরাপিল্লি ফলস (ত্রিশূর)
এটি কেরলের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। এর আরও একটি নাম আছে। ‘ভারতের নায়গ্রা’। পশ্চিমঘাট পর্বতের চালাকুডি নদী থেকে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি। বর্ষার সময় পূর্ণযৌবনা এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দেখার মতো। জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে বেশি লোকজন নিয়ে এই জলপ্রপাত দেখতে যাবেন না। তাহলে ঘোরাটাই মাটি। ভিড় এড়াতে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে যান।
চিত্রকূট ফলস (ছত্তিশগড়)
এমনিতে ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলা মাওবাদী হামলার জন্য কুখ্যাত। কিন্তু এখানকার চিত্রকূট জলপ্রপাত পর্যটকদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আর তা অবশ্যই এর সৌন্দর্যের জন্য। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই জলপ্রপাতকে দেখতে লাগবে ‘পিকচার পারফেক্ট’। জলপ্রপাতের নিজস্ব সৌন্দর্য তো আছেই, এর চারপাশে সবুজও চোখ টানে পর্যটকদের।
রহলা জলপ্রপাত (মানালি)
এই জলপ্রপাতেরর উচ্চতা অনেক। প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ফিট। মানালিতে রয়েছে এই জলপ্রপাত। এখান পৌঁছতে হলে আপনাকে রোটাং পাসের রাস্তা ধরতে হবে। হিমবাহ গলে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি। ফলে একদিকে জবুথবু ঠান্ডা আর অন্যদিকে জলপ্রপাতের গর্জন মিলিয়ে এখানে এক অন্যরকম অনুভূতি হয়। এলাকাটি জঙ্গলে ঘেরা। ফলে এর আশপাশের প্রকৃতিও অন্য জলপ্রপাতের থেকে অনেকটাই আলাদা।
সূচিপাড়া জলপ্রপাত (মেপ্পাদি)
কেরলের এই জলপ্রপাতের আর একটি নাম সেন্টিনেল রক ওয়াটারফলস। ট্রেকারদের জন্য এই জলপ্রপাত খুব আকর্ষণীয়। মালয়ালম ভাষায় ‘সূচি’ মানে সূচ ও ‘পাড়া’ মানে পাথর। ‘সূচিপাড়া’ মানে যা খুব তীক্ষ্ণ। এর উচ্চকা অনেক বেশি। আর নিচটি দুধসাদা জল। অনেকে এখানে স্নানও করেন। পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে গুটি কয়েক হোটেলও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.