Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lavpur

বাংলার পর্যটন মানচিত্রে জুড়ছে নতুন নাম, সেজে উঠছে লাভপুর

ধাত্রীদেবতায় হচ্ছে মিউজিয়াম।

Lavpur becoming new tourist spot in Birbhum | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 24, 2021 5:43 pm
  • Updated:July 24, 2021 5:43 pm  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: লাভপুরকে (Lavpur) পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। হাঁসুলি বাঁককে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি এবার ফুল্লরা মন্দির-সহ লাভপুর ব্লকের একাধিক মন্দির, মাজার সাজিয়ে তোলা হবে। একই ভাবে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ধাত্রীদেবতার মধ্যে থাকা মিউজিয়ামের উদ্বোধনের পাশাপাশি একে সাজিয়ে তোলার জন্য আরও অর্থের জন্য দাবি করেছে লাভপুরের একাধিক কমিটি। একইভাবে কলকাতার একাধিক অ্যাকাডেমিতে থাকা তারাশঙ্করের লেখার আসল পান্ডুলিপিগুলির জেরক্স কপি চাওয়াও হয়েছে।

শুক্রবার ছিল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। কিন্তু লাভপুর ধাত্রীদেবতাতে প্রতিবছর লেখকের জন্মদিন পালিত হয় দু’দিন পর। এবার রবিবার পালিত হবে। ওই দিন একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে লেখকের জন্মদিন পালনের পাশাপাশি ধাত্রীদেবতার মধ্যে তৈরি হওয়া মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের ক্ষতি রুখতে সিদ্ধান্ত বদল, টিকার একটা ডোজ নিলেই মিলবে Digha সফরের অনুমতি]

লাভপুরকে সাজিয়ে তুলতে বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, লাভপুর ফুল্লরা মন্দির কমিটির সম্পাদক তরুণ চক্রবর্তী, সহ ব্লকের একাধিক অধিকারিক সহ বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা। লাভপুর মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “লাভপুরকে পর্যটন হিসাবে গড়ে তুলতে হলে শুধু লাভপুর শহরের নয় লাভপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে থাকা স্থাপত্য গুলির উন্নয়ন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, জামনা মায়ের আনোকা মায়ের মাজার, মুন্ডুমালিনীতলা, মহেশপুর কালীতলা, দরবারপুর পীরতলা-সহ লাভপুরের একধিক জায়গা উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। একই ভাবে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত বিভিন্ন জনিস, তার লেখা পান্ডুলিপি সহ একাধিক জিনিস নিয়ে যে মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে তার জন্য অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে। সেই অর্থ দিয়ে মিউজিয়াম সাজাতে ফার্নিচার কেনা হবে।”

এদিকে লাভপুর মন্দিরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এক কোটি টাকা দিয়েছেন তা দিয়ে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে। একই ভাবে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মন্দিরের পাশে যে মাঠ রয়েছে সেখানে একটি পিকনিক স্পট, ফলের বাগান, বাচ্চাদের জন্য একটি পার্ক,মন্দিরের সামনে পুকুরের সৌন্দর্যায়ন এবং মন্দির চত্তরে তপোবনের মত একটি যজ্ঞভূমি তৈরি করা হবে। এদিকে গত সপ্তাহে হাঁসুলিবাঁক ঘুরে দেখে জেলা শাসক বিধান রায় জানান, ওখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: ডেল্টা স্ট্রেনের থাবায় আতঙ্ক Sikkim’এ, বন্ধ একাধিক পর্যটনস্থল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement