Advertisement
Advertisement

ভূতে বিশ্বাস নেই? এই মন্দিরে আসুন!

মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরই ভারতের একমাত্র ধর্মস্থল, যেখানে ভূত আর ভগবানের এক আশ্চর্য সহাবস্থান চোখে পড়ে।

Know about Balaji temple in Rajasthan, a place to exorcise ghosts
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 20, 2016 5:25 pm
  • Updated:February 28, 2019 5:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু অন্ত্যেষ্টির একটা প্রথা আছে। যাঁরা শ্মশানে গিয়েছেন, তাঁরা জানবেন ব্যাপারটা।
অন্ত্যেষ্টি সমাপ্ত হলে, চিতাভস্মে জল দিয়ে আর পিছন ফিরে তাকাতে নেই। তখন মায়া ত্যাগ করতে হয়। মৃত ব্যক্তির আত্মাকেও শান্তিতে বিদায় দিতে হয় পরপারে যাত্রার জন্য।
রাজস্থানের দৌসার মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরেও এই প্রথা আছে। পুজো দিয়ে চলে আসার সময়ে আর পিছনে ফিরে দেখার নিয়ম নেই।
দেখলে, কোনও না কোনও অতৃপ্ত আত্মা এসে গ্রাস করে!
গল্পকথা নয়। মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরই ভারতের একমাত্র ধর্মস্থল, যেখানে ভূত আর ভগবানের এক আশ্চর্য সহাবস্থান চোখে পড়ে। মন্দির চত্বরে পা রাখা মাত্র অনুভব করা যায়, প্রেতাত্মার অশরীরী উপস্থিতি। সেই কারণেই ভূত ঝাড়ানোর জন্য এই মন্দিরের প্রসিদ্ধি রয়েছে। দূর দূর থেকে ভক্তরা আসেন প্রেতগ্রস্ত প্রিয়জনের মুক্তি কামনায়।


মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা শ্রীহনুমান। তাঁর সঙ্গেই মন্দিরে পূজা পান ভৈরব। এবং, এই দুই দেবতার সঙ্গেই মন্দিরে বিরাজ করেন প্রেত রাজ। ভূতের রাজার অবস্থিতির কারণেই এই মন্দিরে প্রায় অবাধ বিচরণ অশরীরীদের।
শোনা যায়, আগে এই জায়গায় এক ঘন জঙ্গল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আরাবল্লী পর্বতের কোলে এই জঙ্গল ছিল মুখ লুকিয়ে। আচমকাই এক পুরোহিত স্বপ্নে দর্শন পান বালাজির। বালাজি তাঁকে বলেন, আরাবল্লী পর্বতের মাঝে এক জঙ্গলে তাঁর আর প্রেত রাজের মূর্তি সমাধিস্থ রয়েছে। নির্দেশ দেন, ওই মূর্তি তুলে এনে মন্দিরে রেখে পুজো করার!
পুরোহিত অবশ্য ওই বিগ্রহ খুঁজে পাননি। পরে বালাজিই তাঁকে স্বপ্নে আবার দেখা দিয়ে জায়গাটা চিনিয়ে দেন। তার পর, জঙ্গল কেটে গড়ে ওঠে এই বালাজি মন্দির।

Advertisement

mehandipur-balaji-temple-.jpg
বজরঙ্গবলীকে বলা হয় সঙ্কটমোচন। হনুমান চালিসা-য় বলাও হয়েছে, ”ভূত পিশাচ নিকট নাহি আবে/মহাবীর জব নাম শুনাবে”। তার পরেও এই মন্দিরে কী ভাবে অবস্থান করেন অশরীরীরা?
সেই প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায় না। তবে বালাজির গর্ভগৃহ বাদ দিলে এই মন্দিরের বাকিটায় ভূতেদেরই অবস্থান!
সেই জন্যই পুজো দেওয়ার পর ভক্তদের পিছনে ফিরে দেখতে বারণ করা হয়। এছাড়া, এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও অবাক করার মতো। এক বাক্স লাড্ডুর মধ্যে তিন দেবতাকে প্রথমে একটি করে নিবেদন করা হয়। তার পর বাকি লাড্ডু ছুঁড়ে দিতে হয় মন্দিরের আনাচে-কানাচে। অশরীরীদের জন্য। এছাড়া, মাত্র দুটি লাড্ডু পুরোহিত নিজের হাতে দেন ভক্কে। সেটাই প্রসাদ হিসেবে খাওয়া যায়। কিন্তু, বাড়িতে নিয়ে আসা যায় না!
ভাবছেন, একবার ঘুরে আসবেন?
এমন কিছু দূর নয়। দিল্লি থেকে সড়কপথে মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরের দূরত্ব ২৫৫ কিমি। আর জয়পুর হয়ে এলে ১০০ কিমি।
জয় বজরঙ্গবলী বলে একবার ঘুরেই আসুন না!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement