ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই জন্মাষ্টমী। এমন দিনে মথুরা কিংবা বৃন্দাবনের দিকেই সবার নজর থাকে। কিন্তু দেশের এমনও এক জায়গা রয়েছে যেখানে ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। নাথদ্বারা। মান্যতা, রাজস্থানের এই স্থানে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীনাথজি রূপে অধিষ্ঠান করেন।
উদয়পুর শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নাথদ্বারের অবস্থান। সেখানেই রয়েছে সাত ফুট লম্বা কৃষ্ণকায় শ্রীনাথজির মূর্তি। শোনা যায়, এই মূর্তি কেউ তৈরি করেননি। আপনাআপনিই এমন রূপ ধারণ করেছে। বল্লভাচার্য প্রতিষ্ঠিত পুষ্টিমার্গ বা শুদ্ধাদ্বৈত সম্প্রদায়ের প্রধান আরাধ্য দেবতা শ্রীনাথজি। রাজস্থানের পাশাপাশি গুজরাটের বৈষ্ণবদেরও আরাধ্য তিনি। শোনা এও যায়, বল্লভাচার্যের পুত্র বিট্টলনাথজি নাথদ্বারায় শ্রীনাথজির পূজার প্রচলন করেন।
জন্মাষ্টমীকে কেন্দ্র করে সেজে ওঠে গোটা নাথদ্বারা। ফুল, আলো আর রঙ্গোলি দিয়ে সাজানো হয় শ্রীনাথজির মন্দির। শ্রীনাথজির পরনের পোশাক ও অলঙ্কারেও থাকে উৎসবের ছোঁয়া। বিশাল শোভাযাত্রায় আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার ভক্তরা কীর্তন-ভজন করেন। লোকগীতিও গাওয়া হয় শ্রীকৃষ্ণের বালরূপকে স্মরণ করে।
শ্রীনাথজির মন্দিরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল শ্রীঙ্গার আরতি। পবিত্র জলে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির স্নানাভিষেক হয়। তাঁকে সিল্কের পোশাক ও গয়নায় সাজানো হয়। এই সমস্ত কিছুর সাক্ষী হতে সারা ভারত থেকে ভক্তরা যান শ্রীনাথজির মন্দিরে। আম্বানি পরিবারও শ্রীনাথজির ভক্ত। তাই তো অনন্ত-রাধিকার বাগদানের অনুষ্ঠান এখানেই হয়। ইশ্বরের দর্শনের পাশাপাশি স্থানীয় খাবারও চেখে দেখতে পারেন। আর প্রত্যেক মরশুমে শ্রীনাথজির জন্য আলাদা ভোগ তৈরি করা হয়। সেই ভোগ অবশ্যই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করবেন। জন্মাষ্টমীতে গেলে থাকার জায়গা আগে থেকেই বুক করে নেওয়া ভালো। তেমন হলে উদয়পুরে ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। সেখান থেকে তো বেশি দূরত্ব নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.