সৈকত মাইতি: করোনা কালের পর অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস। আবারও স্পেশ্যাল টুরিস্ট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সেই লক্ষ্যে রেল পর্যটনকে উন্নত করতে এবার শহরে শহরে প্রচার শুরু করল রেল। সেই লক্ষ্যে পুজোতেই নতুন উদ্যোগে বৈষ্ণোদেবী থেকে শুরু করে আজমীর শরিফ-সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের বিশেষ সুযোগ দিয়ে এগিয়ে এল রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারই তমলুকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইআরসিটিসি (IRCTC) ইস্ট জনের পক্ষ থেকে ‘ভারত গৌরব’ স্পেশ্যাল এই টুরিস্ট ট্রেন চালু করার কথা জানানো হয়েছে।
মূলত, রেলওয়ে পর্যটনকে আরও কীভাবে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। এক্ষেত্রে স্পেশ্যাল এই দুটি টুরিস্ট ট্রেন আসন্ন পুজোর মরশুমে উত্তর ভারতের (North India) সঙ্গে মাতা বৈষ্ণোদেবী দর্শন এবং রয়্যাল রাজস্থান নামে চালু করা হচ্ছে। উত্তর ভারত সঙ্গে মাতা বৈষ্ণোদেবী দর্শন ট্রেনটি ১১ আগস্ট রাত থেকে ১১ দিনের জন্য ভ্রমণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রয়্যাল রাজস্থান (Rajasthan) নামের স্পেশ্যাল টুরিস্ট ট্রেনটি যাত্রা তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২০ অক্টোবর রাত থেকে ১২ দিনের জন্য। যেটি কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে আজমীর, উদয়পুর, চিতরগড়, আবু রোড, যোধপুর, জয়সলমীর-বিকানের, জয়পুর-সহ বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র দর্শন করাবে। অন্যদিকে, বৈষ্ণোদেবী-সহ উত্তর ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্পেশ্যাল এই টুরিস্ট ট্রেনটি ১১ আগস্ট রাত দশটায় কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা, খড়গপুর, ঝাড়গ্রাম, টাটানগর, পুরুলিয়া, রাঁচি হয়ে হরিদ্বার, ঋষিকেশ, মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দির, স্বর্ণমন্দির, ওয়াঘা সীমান্ত, তাজমহল, মথুরা, বৃন্দাবন এবং অযোধ্যা-সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করবে।
এভাবেই ভারতবর্ষের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা, যাবতীয় খাওয়াদাওয়া ও হোটেল খরচ-সহ ভ্রমণের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের মাথাপিছু ট্রেনের বিভিন্ন ক্লাসের ক্ষেত্রে প্যাকেজ মূল্য ধার্য করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ট্রেনের ইকোনমি ক্লাস, স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস এবং কমফোর্ট ক্লাস হিসেবে প্যাকেজ মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এই প্যাকেজ এ মধ্যে ট্রেন ভাড়া হোটেলের রাত্রিবাস, সমূহ আহারাদি টিফিন, দুর্ঘটনাজনিত ভ্রমণ বীমা এবং বাসে করে অভিজ্ঞ গাইড সহ দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ সবই যুক্ত রয়েছে। তবে যেহেতু উত্তর ভারতের বৈষ্ণব দেবীর মন্দিরের এই টুর টি তীর্থক্ষেত্র দর্শনের জন্য সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরামিষ আহারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাজস্থান টুরের ক্ষেত্রে অবশ্য আমিষের বন্দোবস্ত রয়েছে।
আইআরসিটিসি’র চিফ সুপারভাইজার দীপঙ্কর মান্না এবং মণীশ কুমার বলেন, ”সকল ভ্রমণপিপাসু সাধারণ মানুষজন যাতে এই প্যাকেজ বুকিং করতে পারেন তার জন্য করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আমরা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সদর শহর গুলিতে জোরদার প্রচার শুরু করেছি। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চল শাখা অফিস এর পক্ষ থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নাম্বার ৮৫৯৫৯০৪০৮২ চালু করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.