প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউএফও নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। বিশ্বের একাধিক জায়গা থেকে একাধিকবার ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ‘ইউএফও’ দেখতে পাওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। এদেশের প্রায় চারটি জায়গা থেকে ইউএফও দেখা গিয়েছে বলে দাবি।
লাদাখ
কেউ যদি বলে ‘আমি ইউএফও দেখেছি’ তাহলে তাঁকে সিরিয়াসলি নেয় না কেউ। কিন্তু এই প্রত্যক্ষদর্শী যদি কোনও সেনা জওয়ান হন, তাহলে? ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালের আগস্টে। সেই সময় বর্ডার প্যাট্রল ফোর্স আকাশে প্রায় ১০০টি ইউএফও দেখা যায়। লাদাখের দেমচখের লগান খের এলাকায় সেগুলি দেখেছিল বলে দাবি উঠেছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তার পর এই নিয়ে আর তেমন কোনও উচ্চবাচ্য হয়নি।
ঋষিকেশ
আধ্যাত্মিকতার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে ঋষিকেশের খ্যাতি জগৎজোড়া। এখানকার পবিত্র পরিবেশের জন্য সারা বছরই বহু তীর্থযাত্রী ভিড় করে এই পুণ্যক্ষেত্রে। ২০১৩ সালে এখানেও দেখা যায় ইউএফও। তবে এই ইউএফও’র আকার বাকিগুলোর মতো নয়। এটি দেখতে ছিল সিলিন্ডারের মতো। সিগারের সঙ্গেও এর আকার তুলনা করা যায়। যখন আকাশে এই ইউএফও দেখা গিয়েছিল, তখন বেশ ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে স্পষ্টভাবে ইউএফও দেখতে পায়নি কেউ। কিন্তু সেদিনের সেই উড়ন্ত বস্তুর রহস্য উন্মোচিত হয়নি আজও।
দিল্লি
২০১৮ সালের ৭ জুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোককল্যাণ মার্গের বাড়ির উপর চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছিল একটি উড়ন্ত চাকতিকে। প্রধানমন্ত্রী বাড়ির উপর অজানা বস্তুকে দেখে সতর্ক হতে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনও কিছুর সন্ধান পাননি। সেদিনের সেই অজানা বস্তুটি দেখেছিল স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (SPG) সদস্যরা।
রত্নগিরি
এখানে উড়ন্ত চাকতির দেখা মিলেছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। তিনটি গ্রামের প্রায় ৮০০ জন এই চাকতিটি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তাদের মতে বস্তুটি ছিল ১২ মিটার চওড়া, ৫০০ ফিট লম্বা। রং ছিল ধূসর। একটি পেট্রোল পাম্পে কাছাকাছি ইউএফও’র দর্শন মিলেছিল।
এছাড়া কলকাতা, বেঙ্গালুরু, ঔরঙ্গাবাদ ও দেশের অন্যান্য জায়গাতেও ইউএফও’র দর্শন মিলেছে। তবে এর মধ্যে লাদাখের কঙ্কা পাস, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে প্রথমের সারিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.