রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। জয়গাঁতে খুলে গেল ভুটান গেট। দীর্ঘ আড়াই বছর পর শুক্রবার খুলল ভুটান গেট। পর্যটকদের স্বাগত জানালেন ভুটানের (Bhutan) প্রধানমন্ত্রী লেটো শেরিং। এদিন ভুটান গেটের ওপারে ভুটানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন এই দেশের প্রতিনিধিরাও। জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামশঙ্কর গুপ্তা, জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ অন্য প্রতিনিধিরা ছিলেন সেখানে। ছিলেন এসএসবি কর্তারাও। ভারত-ভুটান যৌথ অনুষ্ঠানে ছিলেন ইন্দো-ভুটান ফ্রেন্ডশিপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক থিনলে দর্জি-সহ ফুন্টশেলিং জেলার ভুটানের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে দুই দেশের পক্ষ থেকে ফিতে কেটে, বেলুন উড়িয়ে গেট খুলে দেওয়া হয়।
সকাল থেকেই ভুটানে ঢোকার জন্য পর্যটকদের লাইন পড়ে যায়। গেট খোলার পর ভারত থেকে শতাধিক মানুষ এদিন ভুটানে যান। আর ভুটান থেকে তিনশোরও বেশি বাসিন্দা জয়গাঁ ও চামুর্চিতে এসে কেনাকাটা করেছেন। ফলে প্রায় মরে যাওয়া ব্যবসা আবার চাঙ্গা হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন জয়গাঁর ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের জন্য কোনওরকম অতিরিক্ত ফি ধার্য করছে না ভুটান প্রশাসন। শুধুমাত্র রাত্রিবাসের জন্য প্রত্যেক ভারতীয়কে মাথাপিছু ১২০০ টাকা সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট ফি (এসডিএফ) দিতে হচ্ছে। তবে যেদিন যাবে, সেদিনই ফিরে এলে ভারতীয়দের কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না। জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামশঙ্কর গুপ্তা বলেন, “পর্যটকদের এদিন জুসের বোতল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। দু’বছর পর ফের ভুটান গেট খোলায় আমরা আশাবাদী। সীমান্ত শহর জয়গাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য সবই নির্ভর করে ভুটানের উপর। প্রতিদিন ভুটান থেকে হাজার হাজার মানুষ জয়গাঁতে এসে তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। কিন্তু গত আড়াই বছর ভুটান গেট বন্ধ থাকায় আমরা সমস্যায় পড়েছিলাম। আশা করছি, ফের জয়গাঁর অর্থনীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.