Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারী তুষারপাত অব্যাহত, গ্যাংটকে দুর্ভোগে বাংলার পর্যটকরা

আশার কথা শোনাতে পারছেন না আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা

Heavy snowfall in Sikkim, tourists stranded
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 22, 2017 10:52 am
  • Updated:December 31, 2019 1:03 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: ভারী তুষারপাত অব্যাহত সিকিমে৷ যার জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গার পরিবহণ ব্যবস্থা৷ গ্যাংটক থেকে তিন মাইল পর্যন্ত হাতেগোনা কিছু গাড়ি চলার অনুমতি দেওয়া হলেও পনেরো মাইল, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির কিংবা নাথু লা যেতে দেওয়া হচ্ছে না কোনও গাড়িকেই৷ ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের৷

যাঁরা আগে থেকে হোটেল, গাড়ি বুকিং করে এসেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন৷ অধিকাংশ পর্যটককে গ্যাংটকে হোটেল-বন্দি হয়েই তাঁদের কাটাতে হচ্ছে৷ দিতে হচ্ছে মোটা টাকা গুনাগার৷ রাস্তা খুলল কি না তা জানতে গ্যাংটকে আটকে পড়া কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকার বাঙালি পর্যটকরা ঘন ঘন খবর নিচ্ছেন৷ তবে এদিন দুপুর পর্যন্ত কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি সিকিম প্রশাসন৷

Advertisement

[কোহলির হয়ে অজি মিডিয়াকে যোগ্য জবাব দিলেন বিগ বি]

সিকিমের শেরাথাং থানার ওসি রবীন রাই জানিয়েছেন, সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতি মুহূর্তে বরফ কেটে রাস্তা খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু তিন মাইল থেকে ছাঙ্গু, বাবা মন্দির, নাথু লার পথ পুরোটাই বরফের মোটা চাদরে ঢেকে রয়েছে৷ ফলে গাড়ি চলার মতো পরিস্থিতি নেই৷ সিকিমের আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহা বলেছেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার সিকিমে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সঙ্গে উঁচু এলাকায় তুষারপাত চলবে৷

আবহাওয়া দপ্তরের এই পূর্বাভাসে চিন্তা বেড়েছে পর্যটকদের৷ পরিস্থিতি দেখেশুনে অনেকেই গ্যাংটক থেকে ফিরে এসেছেন৷ সিকিমে ঘুরতে এসে যাঁদের আগাম হোটেল-গাড়ি বুকিং করা নেই, তাঁদের বেশিরভাগই এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিংয়ে চলে যাচ্ছেন৷ কেউ কেউ যাচ্ছেন ডুয়ার্সে৷ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনজারভেশন অ্যান্ড টুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, শুধু ছাঙ্গু, বাবা মন্দির কিংবা নাথুলা নয়৷ উত্তর সিকিমের গুরুদম্বার, লাচুং, ইয়ামথাংয়ের রাস্তাও পুরোপুরি বন্ধ৷ তবে মঙ্গন, চুংথাং ও লাচেনের পথে পর্যটকদের কিছু গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি যা সেটাও কতক্ষণ বহাল থাকবে তা বলা মুশকিল৷

[নিমগাছ থেকে বেরচ্ছে ‘বিয়ার’, হুলস্থুল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে]

টুর অপারেটররা জানিয়েছেন, অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রথমবার ছাঙ্গু, বাবা মন্দিরে যাবেন বলে অনেক কষ্ট করে টাকাপয়সা জোগাড় করে ঘুরতে এসেছেন৷ অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরাও৷ এর মধ্যে ভিন রাজ্যের পর্যটকরাও রয়েছেন৷ অনেকে আবার যে পর্যন্ত গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে, ততটুকু গিয়েই হাতের কাছে বরফ পাওয়ার আনন্দটুকু উপভোগ করতে চাইছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement