সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস আপনাকে কটা ছুটি দেয় বছরে সাকুল্যে?
অগুনতি নিশ্চয়ই নয়!
তাই বেড়াতে যদি যেতে হয়, এমন জায়গাই কি বাঞ্ছনীয় নয় যেখানে যাতায়াতে খুব একটা সময় লাগবে না? ঠিক উইক-এন্ড ট্রিপ নয়, তবে তার চেয়ে বড়জোর দিন দুয়েক বেশি?
এই গরমে, পাহাড়ে নিরিবিলি আর শৈত্যের কোলে?
উঁহু! এমন শৈলবাসের কথা বলে সবার আগে মাথায় দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, গ্যাংটক- এসব আসাই স্বাভাবিক! কিন্তু, সেখানে শান্তি কই? বছরের প্রায় সব সময়েই তো লেগে আছে পর্যটকদের ভিড়!
তাই দার্জিলিংকে বুড়ি করে বেরিয়ে পড়া যাক! ট্রেন এসে থামুক সোজা কলকাতা টু নিউ জলপাইগুড়ি!
তার পর?
স্রেফ একটা গাড়ি ধরা! মিরিকে যাচ্ছে, এমন একটা গাড়ি।
যেতে যেতে পাহাড়ের পাকদণ্ডী, চা বাগান, হিমেল হাওয়া, বাচ্চার হাসিমুখ, গাড়ি থামলে গরম চা- সব কিছু সঙ্গে নিয়ে চলতে থাকুন! পৌঁছে যান মিরিকে।
এবং, ফের শুরু হোক আপনার যাত্রা! একটু জিরিয়ে নিয়েই!
ঘাবড়ানোর কিছু নেই! মিরিক থেকে ঠিক গুণে গুণে ৩ কিলোমিটার! ব্যস! তার পরেই আপনি, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কমলা বাগান, পাকদণ্ডী পথ, ওম মণিপদ্মে হুম বুকে আঁকা গুম্ফার ছুটি কাটানোর পালা!
জায়গার নাম রাংবাং!
রাংবাং-এর মজা এই নিভৃতিতেই। ছোট্ট জায়গা, হইচই করার মতো তেমন কিছু নেই! রয়েছে শুধু ডালি উজাড় করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দার্জিলিং থেকে অনেক বার দেখেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। একবার রাংবাং থেকেও দেখুন না! দেখবেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক অদ্ভুত প্রশান্তি ভরে দিচ্ছে আপনার মনে।
দার্জিলিংয়ের ভিড় যা সচরাচর দেয় না।
এছাড়া রয়েছে কমলা বাগানে ঘোরাঘুরি, টুক করে বোকার মনাস্ট্রি আর মিরিকের চারপাশটা দেখে নেওয়া!
এছাড়া রাংবাং হোম স্টে-র খাবার আর কাচমোড়া ঘরও কাটিয়ে দেবে সব একঘেয়েমি!
ফিরবেন যখন, আপনার সঙ্গে থাকবে নতুন করে শহরজীবনের লড়াই করার তাগিদ!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.