সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়ে ঘুরতে গেলে নিশ্চই একটু কোলঘেঁষা হোটেলে থাকতে ইচ্ছে করে? কিন্তু এমন হোটেল কি দেখেছেন, যা একেবারে খাদের ধারে ঝুলন্ত? সামনে শুধুই গভীর গিরিখাত আর ঝরণা৷ হোটেলের অবস্থান এমনই, যেন ব্যালকনি দিয়ে হাঁটতে গেলে মনে হবে, সোজা পাহাড়ে গিয়ে ধাক্কা খাবেন৷ নিশ্চয়ই এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি কখনও হননি?
তাহলে এবার আপনার এই অভিজ্ঞতা হতেই পারে৷ তুরস্কের এক ডিজাইনার স্টুডিও এমনই হোটেল তৈরির নকশা বানিয়েছে৷ সুদূর নরওয়ের দক্ষিণ দিকে পালপিট রক৷ উচ্চতা ১৯৮১ ফুট৷ আর সেই উচ্চতাতেই একটি হোটেলের নকশা করতে চান হায়ারি আতাক নামে তুরস্কের ওই আর্কিটেক্ট৷ যেখানে থাকলে একেবারে প্রত্যক্ষভাবে বোঝা যাবে, খাদের ধারে থাকা বলতে ঠিক কী বোঝায়৷
কেমন হবে সেই হোটেল? হায়ারির নকশা অনুযায়ী, ওই উচ্চতায় একটি তিনতলা হোটেল তৈরি হবে৷ যার কিনার ধরে থাকবে বড় একটি ভিউ পয়েন্ট৷ প্রতিটি তলায় ঝুলন্ত বা বেরিয়ে থাকা ব্যালকনি থাকবে, যাতে সেখানে বসে প্রকৃতির দিগন্তজোড়া ক্যানভাস দেখতে পান পর্যটকের দল৷ আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় থাকবে হোটেলে৷ প্রতিটি ফ্লোর হবে স্বচ্ছ৷ সবচেয়ে নিচতলায় তৈরি হওয়া সুইমিং পুলটি যে কোনও তলা থেকে নিচের দিকে তাকালে দেখা যাবে৷ সিড়ি ভেঙে নামতে হবে না সুইমিং পুলে৷ দড়ি বেয়ে সোজা নেমে আসা যাবে, যাতে রোমাঞ্চ আরও বাড়বে৷
নিজের এই কাল্পনিক নকশা প্রসঙ্গে হায়ারি নিজে বলছেন, ‘একবার এক বন্ধু গিয়েছিল নরওয়ে সফরে৷ সে এই পালপিট রকের ছবি পাঠিয়ে লিখেছে, দ্য রক৷ খাদের ধারে পাথুরে একটা খাড়া শৃঙ্গ৷ আমি ছবি দেখেই বুঝেছিলাম, জায়গাটা দুর্দান্ত৷ চোখে না দেখেই আমি যেন চোখের সামনে সবটা দেখতে পাচ্ছিলাম৷ আর সেই সঙ্গেই আমার মাথায় খেলে যায়, এখানে একটা ঝুলন্ত হোটেল তৈরি করলেই প্রকৃত অর্থে খাদের কিনারায় বসবাসের অভিজ্ঞতা হবে৷’ যদিও হায়ারির নকশা করা এই হোটেল তৈরির অনুমতি এখনও মেলেনি৷ তাই কবে, কখন তা তৈরি হবে, সে বিষয় এখনই কিছু জানা যাচ্ছে না৷ তবে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটক মাত্রই এই ঝুলন্ত খাদের ধারে হোটেলে থাকার কল্পনায় মশগুল হচ্ছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.