Advertisement
Advertisement
পর্যটক

ইউরোপীয় পর্যটকদের টানতে আমন্ত্রণমূলক ভ্রমণের পরিকল্পনা পর্যটন দপ্তরের

টুর অপারেটরদের মাধ্যমে বিদেশিদের আমন্ত্রণ৷

Government take steps to promote tourism across worldwide
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 23, 2019 9:33 pm
  • Updated:June 24, 2019 9:37 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়: পুরুলিয়ার রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন ইতালীয় পর্যটক। অথবা শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখছেন ফ্রান্সের অখ্যাত কবি, কিংবা পাহাড়ের অখ্যাত গ্রামে নৈশভোজ করছেন গ্রিক দম্পতি। এখনও এই রকম দৃশ্য বিরল হলেও দ্রুত তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে রাজ্যে। কারণ, রাজ্যের পর্যটনকে ইউরোপে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে পর্যটন দপ্তর। 

[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর আসুন’, পর্যটকদের ভূস্বর্গ ভ্রমণের আবেদন ‘দিলবরো’ খ্যাত বিভার]

জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে খুব শিগগিরি বিদেশিদের জন্য আমন্ত্রণমূলক ভ্রমণের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই সময়েই ইউরোপের নামীদামি টুর অপারেটর সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এ দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি দেখানো হবে। পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশ, যেখানে এই টুর অপারেটরদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে আয়োজিত ডেস্টিনেশন নর্থবেঙ্গল অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্য পর্যটনের যুগ্ম অধিকর্তা টেনডুপ নামগিল শেরপা। যুগ্ম অধিকর্তা বলেন, “ইউরোপের বাছাই করা কিছু টুর অপারেটরদের নিয়ে এই কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। রাজ্যের আদিম সৌন্দর্যের হাতছানি ইউরোপীয় মহলে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হবে।” 

Advertisement

পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও এনিয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁর কথায়, যত বেশি বিদেশি পর্যটককে রাজ্যমুখী করা যাবে, বাংলাকে ততবেশি আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিতি দেওয়া যাবে। উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন অপারেটর তাপস সাধন রায় জানান, “মানুষ এখন যত বেশি সম্ভব স্থানীয় নির্যাস পেতে চাইছে, তাই প্রথাগত পর্যটনের পাশাপাশি হোমস্টেগুলি ব্যাপক হারে উঠে আসছে।” জানা গিয়েছে, তাঁর নিজের উদ্যোগে অন্তত ১০-১৫টি নতুন পর্যটন কেন্দ্রকে জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা চলছে। উত্তরের পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল মনে করেন যে, “যে কোনও প্রচারই প্রোডাক্টের জন্য ভাল। পর্যটন যেখানে এখন একটা বড় অর্থনৈতিক লাভের জায়গা সেখানে ইউরোপিয়ান দেশগুলির কল্যাণে রাজস্ব যদি বেশি মাত্রায় আসে, তাহলে আখেরে লাভ সবারই।” পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে পুস্তিকাও প্রকাশ করা হবে। যাতে আরও বেশি মানুষ বিষয়টি জানতে পারেন। 

 [ আরও পড়ুন: এই বাংলায় ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’! ঘুরে আসুন অযোধ্যা পাহাড়ের মার্বেল লেকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement